অনেক আশা নিয়ে ‘দাদা’র সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন অনুগামীরা। সেই সঙ্গে এসেছিলেন অনেক অভিনেত্রীরাও। কিন্তু কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের সঙ্গে কাউকেই দেখা করতে দেওয়া হল না।শেষ পর্যন্ত মন খারাপ নিয়েই ফিরতে হল সবাইকে। তাঁদের প্রিয় মদনদার দ্রুত সুস্থতার কামনা করলেন সবাই।
এদিন ভবানীপুর থেকে মদন মিত্রের ছবি লাগানো গেঞ্জি পড়ে হাজির হন ইউনাইটেড ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা। তাঁদের গেঞ্জিতে লেখা ছিল খেলা হবে। এদিন অনুগামীরা হাসপাতালে এলেও মদনের সঙ্গে দেখা করতে দেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষরা।অনুগামীদের মুখে একটাই কথা, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন তাঁদের প্রিয় দাদা। এদিন মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাংলা টেলিভিশন জগতের একাধির অভিনেত্রীও। তাঁরা হাসপাতালে ঘণ্টা তিনেক ছিলেন।এরপর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা জানান, মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি।
তবে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, কামারহাটির বিধায়কের শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নেই। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মদন মিত্রের হাই ব্লাড প্রেসার ও সুগারের সমস্যা রয়েছে।তবে চিকিৎসকরা উদ্বিগ্ন গলার টিউমার নিয়ে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মদন মিত্রের কাশির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে মদন মিত্রের ছেলে শুভরূপ মিত্র জানিয়েছেন,‘আগে যেমন ২৪ ঘণ্টা অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল, এখন সেই নির্ভরতা কিছুটা হলেও কমেছে ।তার জন্য বিশেষ থেরাপি চলছে।’
উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্ট নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত মদন মিত্রকে আপাতত গৃহবন্দির নির্দেশ দিলেও এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত সোমবার কামারহাটির বিধায়ককে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন সন্ধ্যায় সিবিআই মদন মিত্র সহ রাজ্যে ৪ জন নেতাকে জামিন দিলেও হাই কোর্ট সেই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়।মদন মিত্র ছাড়া বাকি ৩ জন হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হলেও ফিরহাদ হাকিম ছাড়া সবাইকেই এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। সেখানেই এখনও ভর্তি মদন মিত্র ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়।