তৃণমূল নেতা মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'আমরা চাই দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি হোক। আদালতের রায় মেনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার।
মুকুল রায়ের বিধায়ক পদের বৈধতা নিয়ে এর আগেও কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি উঠেছিল। সে মামলায় কলকাতা হাইকোর্টও রাজ্য বিধানসভার স্পিকারকে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল। কিন্তু হাইকোর্টের এক্তিয়ারকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে জয়ী হয়ে আসা বিধায়ক মুকুল রায়। বিজেপির টিকিটেই তিনি কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হন। পরে আবার তিনি তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি।
এদিকে, তৃণমূলে ফিরে আসার পর তাকে পিএসির চেয়ারম্যান করা হয়। তাতে বিতর্ক আরও বেড়ে যায়। বিরোধীদের দাবি করে, প্রথামাফিক বিরোধী দল থেকেই পিএসির চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। কিন্তু মুকুল রায় শাসক দলে থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে চেয়ারম্যান করা হল? সেই অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপরেই তাঁকে চেয়ারম্যান নিয়োগ অবৈধ দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
যদিও মামলার শুনানিতে রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছিলেন, পিএসি চেয়ারম্যান করার সময় খাতায়কলমে বিজেপি বিধায়ক ছিলেন মুকুল রায়। এরপরে মুকুল রায়ের দলত্যাগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ফলে এখন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে দেশের শীর্ষ আদালত। আগামী ২২ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।