সুপ্রিম কোর্টে জামিনের শুনানিতে বড় ধাক্কা খেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরাসরি একজন দুর্নীতিবাজ বলে উল্লেখ করলেন বিচারপতি। এই ধরণের দুর্নীতিবাজদের জামিন দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। সব মিলিয়ে শুনানি শেষ হলেও স্থগিত রায়দান।
এদিনের শুনানিতে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক জামিনের কথা উল্লেখ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনের দাবি তোলেন তাঁর আইনজীবী মুকুল রোহতগি। তিনি বলেন, প্রয়োজনে জামিন পেলে পার্থ পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থাকবেন। কিন্তু আড়াই বছর ধরে একটা লোক জেলবন্দি এটা কী ধরণের রসিকতা? একথা শুনে বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেন, ‘আপনার মক্কেলর কাছ থেকে কোটি কোটি নগদ উদ্ধার হয়েছে। উনি একজন দুর্নীতিবাজ। এই ধরণের দুর্নীতিবাজকে মুক্তি দিলে সমাজে কী প্রভাব পড়বে তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একজন মন্ত্রী হয়েও একাধিক লাভজনক সংস্থায় যুক্ত ছিলেন। তাঁর ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মালিকানাধীন সংস্থান নামে সম্পত্তি কেনা হয়েছে। তিনি ভুয়ো সংস্থা খুলে তাতে ভুয়ো ডিরেক্টর নিয়োগ করেছেন। উনি খুব ভালো করে জানতেন যে তিনিই নিজেই মন্ত্রী। তাই এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা আর আরও নেই। আর তিনি নিজে তো নিজের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেবেন না। আদালত ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় এই সব তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।’
এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, গোটা মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভূমিকা খতিয়ে দেখে জামিনের ব্যাপারে বিবেচনা করা হোক।