আবার স্বস্তি লালার। আর বিড়ম্বনায় সিবিআই। কারণ কয়লা পাচার–কাণ্ডে আবারও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল অনুপ মাজি ওরফে লালা। একেবারে জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর রক্ষাকবচ বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। আর জুলাই মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। ততদিন সিবিআইয়ের নাগালের বাইরে সম্পূর্ণ আরামেই দিন কাটাবেন লালা।
গত নভেম্বর মাসে কয়লা পাচার–কাণ্ডের তদন্তে মামলা দায়ের করেছিল সিবিআই। তখন দফায় দফায় রাজ্য জুড়ে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। তারপরই হাতে আসে অনুপ মাজি ওরফে লালার নাম। স্রেফ কয়লা পাচার করে যিনি কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এই ঘটনায় তদন্তকারীদের চোখ কপালে ওঠে। এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি, বিলাসবহুল জীবন ভাবিয়ে তোলে তাঁদের। তাঁকে খুঁজতে প্রথমে পুরুলিয়ার নিতুড়িয়ার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। তারপর কলকাতায় তাঁর বাড়ি এবং অফিসেও যান তদন্তকারীরা। কিন্তু লালার দেখা মেলেনি।
এই তদন্তে নেমে একের পর এক নাম সিবিআইয়ের জালে উঠে আসে। তালিকায় বিকাশ মিশ্র, ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়াদের মতো প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে। তবে এই তালিকার সঙ্গে নাম জড়ায় পুলিশ অফিসার, ইসিএল আধিকারিকদের একাংশেরও। যা ভাবিয়ে তোলে আধিকারিকদের। বোঝা যায় ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবার অবস্থা। তখন লালার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। আর তাঁকে পলাতক ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। লালাকে হেফাজতে নিতে আর্জি জানায় সিবিআই।
কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট, লালাকে গ্রেফতারির নির্দেশ দেয়নি। শর্ত দিয়েছিল, লালাকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। ৩০ মার্চ হঠাৎ কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন লালা। রীতিমতো মেজাজ দেখাতে থাকেন তিনি। সিবিআইও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে অভিযোগ নিয়ে, ‘লালা তদন্তে সহযোগিতা করছেন না।’ আজ, মঙ্গলবার বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে অনুপ মাজি ওরফে লালার মামলার শুনানি ছিল। সেখানে বেঞ্চ জানায়, আপাতত লালাকে গ্রেফতার করা যাবে না। পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে হবে।