এতদিন রাজ্য সরকারকে ‘আল্টিমেটাম’ দিচ্ছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছিলেন। আর এবার সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে হুঁশিয়ারি দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। বুধবার মহালয়ার দিনে মহামিছিলের শেষে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস হালদার একেবারে সরাসরি বলেন, ‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও যেন এটা মনে রাখে, আমাদের স্বর এভাবে দমিয়ে দেওয়া যাবে না।’ সেইসঙ্গে সিবিআইকে ‘চাপে’ রাখার কথা বলে ‘উপর-উপর কোনও সেটিং’ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রয়োজনে দিল্লি যাওয়ারও ডাক দিয়েছেন তাঁরা।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের জন্য বিচার চেয়ে বুধবার কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা থেকে মহামিছিলের পরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে যে মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে, সেখান থেকেই সেই মন্তব্য করেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস।
‘আমরা কাউকে ভরসা করতে পারছি না’
তিনি বলেন, ‘সবাই বলছেন, রাজ্য প্রশাসনকে তো তোমরা এতকিছু বলছো। সিবিআই - তাদের তোমরা কিছু বলছো না! আমরা বলতে চাই। আমরা কাউকে ভরসা করতে পারছি না। আমরা দেখেছি সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে কী বলছে এবং আর আমাদের সেশনস কোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা কী কথা বলছেন। চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।’
আরও পড়ুন: RG Kar Hospital: আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে গালিগালাজ, চরম হুমকি!
‘উপর-উপর কোনও সেটিং হয়ে যাবে’
দেবাশিস দাবি করেন, সিবিআই এমন অনেক তদন্তভার পেয়েছে, যাতে ন্যায়বিচার মেলেনি। আরজি কর মামলায় যাতে সেরকম কিছু না হয়, সেজন্য তাঁরা ‘চাপ’ বজায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন দেবাশিস। ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র অন্যতম ‘মুখ’ বলেন, ‘আমরা যদি আমাদের এই আন্দোলনের আগুনকে জিইয়ে রাখতে না পারি, তাহলে হয়ত উপর-উপর কোনও সেটিং হয়ে যাবে। হয়ে যাবে। আমরা এই সেটিং করতে দেব না। প্রয়োজন হলে আমরা দিল্লি যাব।’
'সুপ্রিম কোর্টও যেন এটা মনে রাখে….'
সেই রেশ ধরে সুপ্রিম কোর্টকেও হুঁশিয়ারি দেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র অন্যতম ‘মুখ’। তিনি বলেন, ‘এই চাপ যেন সিবিআইও অনুভব করে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টও যেন এটা মনে রাখে, আমাদের স্বর এভাবে দমিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের এই নাগরিক আন্দোলন, আমাদের এই গণ আন্দোলন অভয়ার বিচারকে ছিনিয়ে আনবেই।’
‘আয়নায় মুখ দেখাতে পারব না….’
সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি পিছু হটে যাই, তাহলে আমরা আয়নার সামনে দাঁড়াত পারব না। আজ যদি পিছু হটে যাই, তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে আমরা দাঁড়াতে পারব না। এই দায় আমাদের আছে।’