করোনামুক্তির পর প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স মাঝ রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীকে কয়েকটি প্রশ্ন করলেন সূর্যকান্ত মিশ্র। ফেসবুকে প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী পার্থ দের দুর্ভোগের কথা লিখে তিনি লিখেছেন, সমস্যা কোথায় তা খোঁজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি কিছু করতে পারেন? তবে এই নিয়ে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ দায়ের করতে নারাজ পার্থবাবু।
গত ৮ ডিসেম্বর করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পার্থবাবু। ১৪ ডিসেম্বর তাঁর করোনামুক্তি ঘটে। এর পর সরকারি অ্যাম্বুল্যান্সেই তাঁকে বাড়ি পৌঁছনোর ব্যবস্থা হয়। পার্থবাবু ঘনিষ্ঠদের জানিয়েছেন, ওই অ্যাম্বুল্যান্সে আরও ২ জনকে তোলা হয়। তাদের বিধাননগরে নামিয়ে ঘুরপথে অ্যাম্বুল্যান্স পৌঁছয় বালিগঞ্জ ফাঁড়িতে। সেখানে তাঁকে নেমে যেতে বলেন অ্যাম্বুল্যান্স চালক। পার্থবাবু জানান, তিনি পাম অ্যাভিনিউয়ে থাকেন। সেখান থেকে এই জায়গা অনেকটা দূর। কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্স চালক তাঁকে হেঁটে চলে যেতে বলেন বলে জানিয়েছেন প্রবীণ এই সিপিএম নেতা। অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি পৌঁছন সিপিএম নেতা।
ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ পার্থবাবুর পরিবার। তাঁর মেয়ে প্রপা দে জানিয়েছেন, বাবাকে ওরা বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারবে না সেটা আগেই জানালে পারত। আমরা নিজেরাই গিয়ে নিয়ে আসতাম। রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীরই যদি এই দশা হয় তবে সাধারণ মানুষের কী পরিণতি হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়।
তবে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি যে প্রাক্তন মন্ত্রী তা অ্যাম্বুল্যান্স চালককে জানাননি পার্থবাবু। এমনকী বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হলেও তিনি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করতে নারাজ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই পার্থবাবুর পরিবারকে একাধিকবার ফোন করেছে বেলেঘাটা আইডি কর্তৃপক্ষ। ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন পার্থবাবুর কাছে। কিন্তু প্রাক্তন মন্ত্রীর একটাই আবেদন, কারও বিরুদ্ধে যেন কোনও পদক্ষেপ না করা হয়।
ওদিকে পার্থবাবুর দুর্ভোগ নিয়ে ফেসবুক পোস্টে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক লিখেছেন, ‘করোনা হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে আমার প্রথম পছন্দ বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতাল। কিন্তু আ্যম্বুলেন্স ও অন্যান্য পরিষেবায় এরকম ত্রুটি গত কয়েক মাসে ঘটেই চলেছে। চাপের তুলনায় যানবাহন ও কর্মী অপর্যাপ্ত। এই ঘটনায় সমস্যা কোথায় খোঁজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি কিছু করতে পারেন’?