বিজয়গড়ে একাকী ফ্ল্যাটে থাকতেন নিবিড়চন্দ্র কুন্ডু। রবিবার রাতে শেষবার দেখা দিয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে তাঁকে আর কেউ দেখতে পাননি। মঙ্গলবার তাঁরই দেহ মিলল বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে। কম্বল ও চাদরে মোড়া ছিল তাঁর দেহ। মেঝেতে চাপ চাপ রক্ত। পরিবারের দাবি ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। এদিকে ঘর থেকে টিভি, ল্যাপটপ, ফোন উধাও হয়ে গিয়েছে। তবে কি চুরি করতে এসে তাঁকে খুন করে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা? নাকি এর পেছনে কোনও আক্রোশ রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি ফ্ল্যাটে সচরাচর একলাই থাকতেন। তবে দিন দুয়েক ধরে ফ্ল্যাটে কোনও সাড়াশব্দ মিলছিল না। ফ্ল্যাটের কোলাপসিবল গেটটি খোলা ছিল। কিন্তু ভেতরের দরজাটি ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীদের ফোন পেয়ে আত্মীয়রা আসেন। এদিকে ঘরের একটি চাবি অন্যত্র ছিল। পুলিশ দরজা খুলে দেখে মেঝেতে রক্তের দাগ। খাটের নীচে কম্বলে জড়ানো দেহ। ঘরের ভেতর ফ্যান চলছিল। পুলিশ খাটের নীচে থেকে দেহটি উদ্ধার করে। তবে দেহটিতে পচন ধরেছে। সেক্ষেত্রে ঠিক কবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ স্থানীয় এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতীরা কীভাবে তাকে খুন করল তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
পুলিশ তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছে। এদিকে সূত্রের খবর, যে ফ্ল্যাটটিতে তিনি থাকতেন সেটি শ্বশুড়বাড়ির সূত্রে তিনি পেয়েছিলেন। সেই সম্পত্তি সংক্রান্ত ব্যাপারেও তাঁদের কিছুটা বিবাদ ছিল। তবে কীসের পরিণতিতে এই ঘটনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।