কেরালা স্টোরি নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। প্রশ্ন তুলেছিলেন কেন কেরালা স্টোরি বাংলায় দেখানো হবে না? এদিকে যে শুভাপ্রসন্ন কার্যত শাসকের কথার বিরোধিতা করেননি এতদিন, তাঁর গলায় এমন বেসুরো আওয়াজ পেতেই কার্যত রে রে করে উঠেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে তাতেও দমেননি শিল্পী। আর এদিন খোদ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি দেখানোর উপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল রাজ্য সরকার তার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হচছে। এবার বাংলা দেখবে দ্য কেরালা স্টোরি। আর তারপরই কার্যত উল্লসিত শিল্পী শুভাপ্রসন্ন।
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের এই রায় ঘোষণার পরে একাধিক বেসরকারি টিভি মিডিয়ায় মুখ খোলেন শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেন, আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে কিছু মতামত দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের তো কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে। সেই কারণেই হয়তো তারা করেছেন ও ভেবেছেন। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিয়েছে। আমি এতে সাধুবাদ জানাই।
এবার প্রশ্ন অশান্তির আশঙ্কায় এই ছবির প্রদর্শনের ক্ষেত্রে নিষেধ করেছিল রাজ্য় সরকার। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টে এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সেক্ষেত্রে কি অশান্তি হতে পারে? সেক্ষেত্রে শুভাপ্রসন্নের দাবি, আমার মনে হয় না। শুভাপ্রসন্নর সাফ কথা মানুষের কাছে যদি গ্রহণযোগ্য না হয় তবে মানুষ দেখবে না। এটাই সবথেকে বড় কথা।
কার্যত সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পরে যেন শুভাপ্রসন্নের গলায় খুশির সুর। হয়তো রাজ্য সরকারের এই ধাক্কা খাওয়ার জেরে এটাই প্রমাণিত হল দ্য কেরালা স্টোরির প্রদর্শনের পক্ষে মতামত দিয়ে আখেরে যুক্তিপূর্ণ কথাই বলেছিলেন শুভাপ্রসন্ন?
প্রসঙ্গত বিগতদিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলয়ে যে কয়েকজনের নাম ছিল তার মধ্য়ে অন্য়তম শুভাপ্রসন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরোধিতা করা তো দূরের কথা তাঁর অতি সমর্থনকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠেছিল বাংলায়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে নানা ইস্যুতে তাঁর কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছিল বলে খবর।এমনকী তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁর বাড়িতে গিয়েও মান ভাঙাতে গিয়েছিল। কিন্তু তাতে যে বরফ গলেনি এদিন সেটা ফের বোঝা গেল।
তবে গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার কেরালা স্টোরি ইস্যুতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নেয় সেটাই দেখার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup