স্বাস্থ্য ভবনে শুভেন্দু অধিকারীকে রুখতে না পারায় সরকারের চাপে চাকরি গিয়েছে ৪ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীর। তারই একজনকে বরখাস্ত করা নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা নিজে। উত্তর ২৪ পরগনার টাকির বাসিন্দা সুশীল দাসকে বরখাস্ত করতে বাধ্য করায় সরকারের তুমুল সমালোচনা করেছেন তিনি। ৬৩ বছর বয়সী সুশীলবাবুর একমাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী। তাই বৃদ্ধ বয়সেও নিরাপত্তাকর্মীর কাজ নিয়েছিলেন সুশীলবাবু।
গত ২৫ জুন ভুয়ো টিকাকাণ্ডের তদন্তের দাবিকে বিধাননগরের স্বাস্থ্য ভবনে হানা দেন শুভেন্দুবাবু। সেখানে স্বাস্থ্যসচিবের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন তিনি। কী ভাবে নিরাপত্তাবলয় পেরিয়ে স্বাস্থ্যসচিবের কাছে পৌঁছলেন শুভেন্দু, এই প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্যভবনের দ্বাররক্ষীর দায়িত্বে থাকা ৪ বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীকে পরদিন বরখাস্ত করতে বাধ্য করে সরকার। তার মধ্যে একজন সুশীলবাবু।
টাকির বাসিন্দা সুশীল দাস অবসরপ্রাপ্ত বিএসএফ কর্মী সুশীলবাবুর ছেলে প্রতিবন্ধী। ২৫ বছর বয়সী ছেলের চিকিৎসা চলে তাঁরই উপার্জনে। এই পরিস্থিতিতে চাকরি খুইয়ে বিপাকে পড়েছেন বৃদ্ধ।
সরকারের এই আচরণের সমালোচনা করে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘মাননীয়রা আরেকটি নিন্দনীয় কীর্তি’। সঙ্গে সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছেন, ‘এরাজ্যে টসিলিজুমাব ইনজেকশন চুরির মতো গুরুতর অপরাধে শুধুমাত্র বদলির মতো লঘুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কারও অহংকে বার্তা দেওয়ার জন্য বলির পাঁঠা করা হয় সাধারণ মানুষকে।’
এদিন সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার কাতর আবেদন জানিয়েছেন সুশীলবাবু। মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে এব্যাপারে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করেছেন তিনি।