এসএসসি এবং প্রাথমিক টেট দুর্নীতি নিয়ে শোরগোল পড়েছে রাজ্য রাজনীতি। এনিয়ে রাজ্য সরকারকে একের পর এক নিশানা করছেন বিরোধীরা। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর মুখে বেশ কয়েকবার রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করতে শোনা গিয়েছে। এবার শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল রাজ্য বিধানসভায় সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পর রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে বদল আনতে বিধানসভায় বিল পাস হয়। এর পরেই বিজেপি বিধায়করা তীব্র বিরোধিতা করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এবং প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে একের পর এক নিশান করেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মানিক ভট্টাচার্য এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় চাকরি বিক্রি করেছেন। এদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সত্য বেরিয়ে আসবে। পার্থবাবুর আগেই দফতর চলে গিয়েছিল। আবার তাকে দফতরে ফিরিয়ে আনা হয়। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি এর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো জড়িত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরেশ অধিকারী আগে ফরওয়ার্ড ব্লকে ছিলেন। শর্তসাপেক্ষে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেই শর্ত হিসেবে তার মেয়েকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়া বোর্ডের চেয়ারম্যান করা এবং লোকসভার টিকিট দেওয়া ছিল তাঁর শর্তের মধ্যে।’ তাঁর দাবি, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া এরকম শর্ত পূরণ করা দলের কারও পক্ষে সম্ভব নয়।’
শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মানিক ভট্টাচার্য যে টাকা তুলেছেন তার ৮০ শতাংশ পৌঁছেছে কালীঘাট এবং শান্তিনিকেতনে। বর্তমানে সেই টাকা লন্ডনে রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন আর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারের মতো কাজ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থর ভূমিকা ছিল কালেক্টরের মতো। তাঁর ডক্টরেট ডিগ্রী ভুয়ো।’