কলকাতা পুরভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, পুলিশ তাঁর গায়ে হাত দিয়েছে। পাশাপাশি শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘বাংলায় ন্যূনতম গণতন্ত্র নেই।’ পুরভোট বাতিলের দাবিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে শুভেন্দু পুলিশের বিরুদ্ধে তাঁকে শারীরিক হেনস্থার অভিযোগ আনেন। শুভেন্দু জানান, তাঁকে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে৷ তিনি অভিযোগ করেন, ‘উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে বাংলায়।’
শুভেন্দু বলেন, ‘ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে কলকাতায়৷ রাজ্যে নূন্যতম গণতন্ত্র নেই৷ বাম, কংগ্রেসের মতো তৃণমূলও শূন্যে এসে দাঁড়াবে৷’ পাশাপাশি রাজ্যে উত্তর কোরিয়ার মতো শাসন চলছে বলেও কটাক্ষ করেন তিনি৷ উল্লেখ্য, বিরোধী বিধায়কদের হস্টেলে তালাবন্ধ করার ঘটনায় বিকেল থেকেই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। শুভেন্দু-অর্জুনদের অভিযোগ ছিল, তাঁদেরকে বেআইনি ভাবে আটকে রেখেছে পুলিশ। পরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দু-সহ বিজেপি নেতারা৷ সেখান থেকে যান নির্বাচন কমিশনেও।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ছবি তুলে ধরে কলকাতার পুরসভা নির্বাচনের উপর প্রশ্ন চিহ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ভোট লুটের পাশাপাশি বিরোধীদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে বিজেপি নেতা তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা পুরসভার সবকটি ওয়ার্ডেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সৌরভ দাস দাবি করেন, ‘দু-চারটে বুথে ঝামেলা হতেই পারে।’ বোমা বিস্ফোরণের পরও ভোট মটের উপর নির্বিঘ্নে ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিরোধীদের তোলা ছাপ্পা ভোটের অভিযোগও ওড়ান তিনি। কোনও ওযার্ডেই পুননির্বাচনের কোনও ইঙ্গিত মেলেনি তাঁর কথায়।