দুয়ারে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচন। আর এখানে এখন বিজেপি সরকার। সেখানে এই নির্বাচনে ঘাসফুল ফোটাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আর তাতে ভয় পেয়ে বাংলা থেকে বিজেপি নেতারা সেখানে আওয়াজ তুলতে মরিয়া। যদিও ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। তবে পদ্ম শিবির ত্রিপুরায় ‘বিজয় সংকল্প সভা’, ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’র মতো কর্মসূচি শুরু করে দিয়েছে। জনসভা শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। এবার ভোটের মুখে সভা করতে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মিঠুন চক্রবর্তী।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপির সুর বেঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এবার বাংলার দুই শীর্ষ বিজেপি নেতা ডাক পেয়েছে ত্রিপুরায়। একজন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্বিতীয়জন বিজেপির তারকা প্রচারক এবং নেতা মিঠুন চক্রবর্তী। মঙ্গলবারই শুভেন্দু–মিঠুন রওনা দেবেন ত্রিপুরায়। যদিও তাঁদের কর্মসূচি আলাদা থাকছে। এই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ওই রাজ্যে কোন বার্তা দেন সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদিকে আজ, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছবেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর প্রাতঃরাশ সেরে সোজা চলে যাবেন গোমতী জেলায়। সেখানে বাগমায় ‘বিজয় সংকল্প সভা’য় দলীয় কর্মী–সমর্থকদের চাঙ্গা করতে ভোকাল টনিক দেবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তারপর চলে যাবেন চারিলামে। সেখানে ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় পা মেলাবেন শুভেন্দু। সেখান থেকে বিশালগড়ে আরও একটি ‘জন বিশ্বাস যাত্রা’য় অংশগ্রহণের কথা রয়েছে তাঁর। তবে শুভেন্দু বুধবারই সন্ধ্যায় ফিরে আসবেন বাংলায়।
মিঠুনের ঠিক কী কর্মসূচি থাকছে? আজ, মঙ্গলবার আগরতলা বিমানবন্দরে নামছেন মিঠুন। আজ আর কোনও সভা থাকছে না তাঁর। বুধবার তেলিয়ামুড়ায় বিজয় সঙ্কল্প মিছিলে উপস্থিত থাকবেন মহাগুরু। মধ্যাহ্নভোজের পর মজলিশপুর মণ্ডলে ‘জন বিশ্বাস র্যালি’তে থাকবেন ফাটাকেষ্ট। যদিও একুশের বাংলায় নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবির পর আর সেখানে প্রায় দেড় বছর মুখ দেখাননি মিঠুন চক্রবর্তী। এবার আবার ময়দানে নেমেছেন তিনি।