দলের নেতাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ো বিদ্রোহে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। একে একে গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে নেতাদের বিদ্রোহ মেটাতে ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রথমে বিদ্রোহ শুরু করেছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তারপর থেকে একে একে জেলার বিজেপি বিধায়করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। এই ভরাডুবি অবস্থায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। জানা যাচ্ছে, বিদ্রোহী নেতাদের বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপরে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির ভরাডুবি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করতেই কার্যত মেজাজ হারালেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, দলের কর্মীদের মধ্যে কেন এই ধরনের অসন্তোষ? এই অসন্তোষ মেটানোর জন্য কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে দল? সংবাদমাধ্যমের এমন প্রশ্নে কোনও উত্তর দিতে চাননি শুভেন্দু অধিকারী। উল্টে মেজাজ হারিয়ে সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, 'এটা দলের বিষয় দল বুঝবে। আপনাদের কেন বলতে যাব! এটা আপনাদের কাজ নয়।' রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের অন্দরে ভরাডুবিতে বিচলিত রয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তার ফলে বিজেপি নেতৃত্ব নিজেদের সংযত রাখতে পারছেন না।
এখনও পর্যন্ত বিজেপির ৯ জন বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ৪ জন মতুয়া বিধায়ক। জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জের রদবদলের পরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন এই সমস্ত বিজেপির বিধায়করা।
দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মতে, সাংগঠনিক সভাপতি এবং ইনচার্জের পদে রদবদলের ফলে দলের সাংগঠনিক কাঠামো মজবুত হবে। কিন্তু, দলের এই সিদ্ধান্তকে মানতে রাজি নন বিজেপি নেতাদের একাংশ। তাঁদের মতে, এর ফলে দলের সাংগঠনিক কাঠামো আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
দলের বিধায়কদের বিদ্রোহ আটকাতে সোমবার বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এই বিদ্রোহ সমাপ্ত হয়েছে। পুনরায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দেবেন বিধায়করা।