প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় নিজের সমালোচনার জবাবে মুখ্যমন্ত্রীর দাবিকে অসত্য বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার এক ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন শুভেন্দুবাবু। সঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারকে অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী ও ভারত সরকারকে অপমান করেছেন এর নিন্দার কোনও ভাষা নেই। উপকূলবর্তী এলাকার বিধায়ক হওয়ায় আমাদের কিছু বক্তব্য ছিল। সেটা কেন্দ্রীয় প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছিলাম। তার পর আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে বলা হয়েছিল’।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বৈঠকের আগের দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছিল। এর পর বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী নিজের শুক্রবারের সফরসূচি বদল করেছিলেন। সূচি অনুসারে শুক্রবার দুপুর ১.৫৫ মিনিটে কলাইকুন্ডায় প্রধানমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল। আর মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার নামার কথা ছিল ২.০৫ মিনিটে। নিজেই প্রধানমন্ত্রীর পরে সেখানে পৌঁছতে চান বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে যোগ দিয়ে দেড় মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কথা বলে মুখ্যসচিবকে নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি’।
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই বিরোধী দলনেতাকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তাও অসত্য। ওড়িশার বিরোধী দলনেতা প্রদীন নায়েককেও ভুবনেশ্বরের বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি উপস্থিত হননি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও বৈঠকে ডাকা হয়। তিনি দিল্লিতে থাকায় বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি।’
এর পর শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আমি দরকারে প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে রাজি। আমি ওনাকে বলবো, প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে হবে না উনি শুধু সংবিধান মেনে চলুন। আমি যেমন ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে সম্মান করি, তেমনই উনি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করুন। পশ্চিমবঙ্গ কোনও সার্বভৌম রাষ্ট্র নয়।’