পুরভোটে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিধানসভায় বিজেপির বেনজির বিক্ষোভের পর সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্যপালকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু প্রহসনের এই ভোট মানি না।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘রাজ্যপালের ভাষণের প্রতিলিপি আমাদের কাছে পৌঁছেছিল। সেই নথি দেখার পরে আমরা নজিরবিহীন, উল্লেখযোগ্য ব্যাপক প্রতিবাদ এই বিধানসভায় আমরা করেছি। মাননীয় রাজ্যপালের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু এই বক্তব্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত। তিনি যে যে শব্দ – বাক্য চেয়েছেন তাঁর মন্ত্রীসভা তাই করেছে। সেই মন্ত্রিসভা অনুমোদিত এই বক্তব্য রাজ্যপাল পড়তে চেয়েছিলেন। আমাদের গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সোচ্চার প্রতিবাদের জেরে টেবিল করতে বাধ্য হয়েছেন এক ঘণ্টা পরে’।
বিরোধী দলনেতার দাবি, ‘ডিসেম্বরে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮টা পুরসভার নির্বাচন পর্যন্ত প্রায় তিন মাসে রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তোলামূল পার্টির উদ্যোগে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে ভোট লুঠের পর্ব চলেছে। সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ভোট দিয়ে গিয়েছেন। খড়দার প্রয়াত চেয়ারম্যানের ভোট পড়েছে। ওদিকে বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ভোট দিতে পারেননি। তৃণমূলের অনেক নেতাও ভোট দিতে পারেননি’।
তাঁর দাবি, ‘এই ভোট লুঠকে সংগঠিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ। আর গুন্ডা সরবরাহ করেছে শওকত মোল্লা, জাহাঙ্গির খানের মতো লোক। যাদের সিবিআই খুঁজছে। যারা ভোট পরবর্তী হিংসায় নেতৃত্ব দিয়েছে তারা’।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পুর নির্বাচনে এই ধরণের ছাপ্পা ও ভোট লুঠ আগে হয়নি। পুরুলিয়ায় সিঁড়ি লাগিয়ে মেশিন বদল করা হয়েছে। ধূলিয়ানে ভোটের ফল পালটে দেওয়া হয়েছে। বিডিও এসডিও দের নেতৃত্বে গুন্ডা ভাড়া করে এনে এই ভোট করানো হয়েছে। আমরা এই ভোট মানি না’।