শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাই যেতে বাধা দেওয়ায় দায়ের আদালত অবমাননার মামলায় এবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলকে ভর্ৎসনা করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন রাজ্যের এজি সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। আদালত তাঁকে বলে, ‘আপনি তো আশ্বাস দিয়েছিলেন যে শুভেন্দুবাবুর গতিবিধিতে কোনও বাধা পড়বে না। তাহলে তাঁকে আটকে দেওয়া হল কেন?’
গত ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার ১০ বছর পূর্তিতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাচ্ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁকে আটকানো হতে পারে সেই আশঙ্কায় আগে থেকেই আদালতের অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি। সেই মামলায় এজি আদালতকে আশ্বস্ত করেছিলেন, শুভেন্দুবাবু রাজ্যের যে কোনও জায়গায় বিনা বাধায় যেতে পারেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারি নেতাই কাছে ঝিটকার জঙ্গলে তাঁকে আটকে দেয় পুলিশ। এর পর আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন শুভেন্দুবাবু। সেই মামলায় ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও রাজ্য পুলিশের ডিজির বিরুদ্ধে রুল জারি করেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য।
কল্যাণী এইমস হাসপাতালে নিয়োগ দুর্নীতি, সিআইডি’র কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
শুক্রবার ফের ছিল সেই মামলার শুনানি। সেখানে বিচারপতি জানিয়েছেন ৩ সপ্তাহের মধ্যে এই মামলায় রাজ্যপুলিশের ডিজি ও ঝাড়গ্রামের এসপিকে হলফনামা জমা দিতে হবে। সঙ্গে এজিকে বিচারপতি ভট্টাচার্য বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর গতিবিধিতে বাধা দেওয়া হবে না বলে আপনি তো আদালতকে আশ্বস্ত করেছিলেন। তার পরও তাঁকে বাধা দেওয়া হল কেন?’ এর পর আদালত বলে, ‘রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুবাবুকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।’
সেদিন পুলিশে বাধা দেওয়ার পর আধিকারিকদের শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘‘উচ্চ আদালতই আমায় নেতাই যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। আদালতই বলেছে, বাংলার যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তার জন্য রাজ্যকে নিরাপত্তাও দিতে বলেছে। কিন্তু আপনারা আমাকে নির্দিষ্ট সময় দেননি। যদি কোনও সমস্যা থাকত, আগেই জানাতে পারতেন।’ সঙ্গে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের ঘোষিত অনুষ্ঠান ছিল সকাল ১০টায়। নন্দীগ্রামের অনুষ্ঠান করে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দুপুর ৩টে নাগাদ এলাম। তার পরেও আমায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। আপনারা তো উচ্চ আদালতকেও মানছেন না’।
বাঙালিকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী না করা নিয়ে বাবুলের মন্তব্যের কড়া সমালোচনা দিলীপের
আইনজ্ঞদের মতে, এই মামলায় পুলিশকর্তাদের জবাব আদালতের গ্রহণযোগ্য মনে না হলে কড়া পদক্ষেপের মুখে পড়তে হতে পারে তাদের। যার জেরে কালির দাগ লাগতে পারে তাদের চাকরিজীবনে।