দিলীপ ঘোষ। বিজেপির প্রবীন নেতা। তবে দলের অন্দরে নানা কারণে কোণঠাসা তিনি। আর এবারের পরাজয়ের পরে কিছুটা হলেও অভিমান জমেছে মনে। আর সেই দিলীপ ঘোষকে বিধানসভায় নিজের ঘরে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে বিজেপির অন্যান্য বিধায়করাও ছিলেন।
আসলে বৃহস্পতিবার ছিল দিলীপ ঘোষের জন্মদিন। আর সেই জন্মদিনেই দিলীপ ঘোষকে গেরুয়া রঙের উত্তরীয় পরিয়ে দেন শুভেন্দু। একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর শুভেন্দু দিলীপ ঘোষকে মিষ্টি খাইয়ে দেন। পালটা দিলীপ ঘোষও মিষ্টি খাইয়ে দেন শুভেন্দুকে।
গত কয়েকদিন ধরেই যেন মেঘ জমছিল বিজেপির অন্দরে। তবে এদিন জন্মদিন পালনের মাধ্য়মে সেই মেঘ যেন বৃষ্টি হয়ে নেমে এল। আপাতভাবে যাবতীয় মান অভিমানে কি ইতি পড়ল এদিন?
এদিকে বিজেপির পরবর্তী রাজ্যসভাপতি কে হবেন তা নিয়ে বিস্তর চর্চা রয়েছে। বিগত দিনে দলের রাজ্যসভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন দিলীপ। সেই সময় ২০১৯ সালে দল অন্তত ১৮টি আসন জিতেছিল। তারপরেও রাজ্য সভাপতির পদ থেকে সরতে হয়েছে দিলীপকে।
এদিন অগ্নিমিত্রা পাল ফুলের তোড়া দিয়ে দিলীপ ঘোষকে শুভেচ্ছা জানান। তবে সবথেকে বড় আকর্ষণ ছিল অবশ্য়ই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে দিলীপের জন্মদিন পালন করা। এদিন জন্মদিন পালনের মাঝেই জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেন অনেকে। এমনকী দিলীপকে কি শুভনন্দন বলে অভিনন্দন জানানো হবে তা নিয়েও রসিকতা করেন কয়েকজন বিধায়ক। এদিন দিলীপ ঘোষও ছিলেন বেশ হাসিখুশি মুডে।
তবে এদিন আচমকাই দিলীপ ঘোষকে ঘিরে বিজেপির বিধায়কদের উৎসাহ দেখে অনেকেই কিছুটা হতবাক। মূল বিষয়টি হল এখনও দলের রাজ্য সভাপতি কে হবেন তা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু হয়নি। কারণ সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। তাঁকে স্বভাবতই পদ ছাড়তে হবে। কিন্তু সেই জায়গায় কাকে দায়িত্ব দেওযা হবে?
তবে কি ফের দল যখন সংকটে তখন দিলীপের রাফ অ্যান্ড টাফ ইমেজকেই সামনে আনতে চাইছে দল? তবে কিছুদিন আগেও দলেরই অন্দরে থাকা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর দিকে কার্যত আঙুল তুলেছিলেন দিলীপ। তাঁকে নিজের আসন থেকে সরানোর পেছনে কারা কাঠি করেছিল সেই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন খোদ দিলীপ ঘোষ। তবে সেসব এখন অতীত। এদিন দিলীপ ঘোষকে নিয়ে যেভাবে উৎসাহ দেখা গেল তা নিয়ে ফের নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।