রাজনীতিতে অভিষেক নাবালক, দিল্লি থেকে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যাক ওঁকে প্রতিষ্ঠা করেন

ফের একবার যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে তাচ্ছিল্যের সুর শোনা গেল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কণ্ঠে। তাঁর দাবি, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনীতিতে নাবালক।’ এজন্য তাঁর কোনও কথার জবাব দিতেও অস্বীকার করেন তিনি। যাতে স্পষ্ট, আগামীতেও রাজ্য রাজনীতিতে জারি থাকবে অভিষেক শুভেন্দু দ্বৈরথ। বুধবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখেন অভিষেক। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘যিনি মানুষের জন্য কাজ করছিলেন তাঁকে শো কজ করা হলো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধেই বিপর্যয় মোকাবিলা আইন প্রয়োগ করা উচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ওই আইন প্রয়োগ হোক। এমনকী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও এই আইন প্রয়োগ করা উচিত’।বুধবার রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে শুভেন্দুকে অভিষেকের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের আমি কোনও উত্তর দেবো না। অভিষেক রাজনীতিতে আমার থেকে জুনিয়র। বয়সেও জুনিয়র। আমরা খেটেখুটে এরাজ্যে পরিবর্তনের সরকার প্রতিষ্ঠা করি। তারপর দিল্লি থেকে ওনাকে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতিতে অভিষেক নাবালক।’এর আগেও একাধিকবার অভিষেককে তাচ্ছিল্য করেছেন শুভেন্দু। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূলে থাকাকালীন অভিষেকের সঙ্গে তাঁর বিরোধের ঝাঁঝ কমেনি এখনো। বিজেপি রাজ্যে সুবিধা করতে না পারলেও নন্দীগ্রামে জয় ছিনিয়ে নিয়ে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি পাকা খিলাড়ি। ওদিকে পিকেকে এনে তৃণমূলের গড়রক্ষা করায় আপাতত দলের ভিতরে অভিষেকের প্রতাপ অনেকটাই বেড়েছে। ফলে আরও জমে উঠেছে ২ মহারথীর টক্কর।