বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাই করতে পারলেন না শুভেন্দু, স্মারকলিপি দিলেন সচিবকে

Suvendu Adhikari: রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাই করতে পারলেন না শুভেন্দু, স্মারকলিপি দিলেন সচিবকে

শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভা থেকে সরানো রাজ্যপালের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে পারেন।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্য বিতর্কে পরেই রাজ্যপাল লা গনেশনের সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় দিলেন না রাজ্যপাল। আর তাতেই বেজায় চটে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। বাধ্য হয়ে রাজ্যপালকে না পেয়ে রাজ্যপালের সচিবের হাতেই স্মারকলিপি জমা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে মন্তব্যের পরেই তৃণমূলের মন্ত্রী অখিল গিরিকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর দাবি জানিয়ে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি স্বীকার করে নিয়েছিলেন, মন্ত্রিসভা থেকে সরানো রাজ্যপালের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে পারেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যপালের মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও শুভেন্দুকে রাজভবনে ডাকেনি রাজ্যপাল। সোমবার রাজ্যপালের সচিবের হাতে স্মারক লিপি জমা দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘উনি রাজভবনে নেই। তবে উনি ইম্ফলে থাকুন বা দিল্লিতে থাকুন, আমরা চাই উনি ইমেইলে বা অন্য কোনওভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিন।’

রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি জমা দেওয়ার জন্য শুভেন্দু অধিকারী দলের বিধায়কদের বিধানসভায় ডেখেছিলেন। রাজভবন থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোভ ব্যক্ত করে বিজেপি দলের সাধারণ সম্পাদক ও বিধায়ক ভগ্নিমিত্রা পাল সরাসরি রাজ্যপালের সচিবকে আক্রমণ করে বলেন, ‘রাজ্যপালের সচিব একটি বেশি কৌশলী হচ্ছেন। এটা আমাদের ভালো লাগছে না।’

প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনকর রাজ্যপাল থাকার সময় বিরোধী দলনেতা নানাভাবে সহায়তা পেয়েছেন। রাজ্যপালের মাধ্যমে সেই সময়ে নানাভাবে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন। তবে বর্তমান রাজ্যপালের সময় তা সম্ভব না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিজেপি।

বন্ধ করুন