আসন বিতর্কে রাজ্যপালের শপথ অনুষ্ঠান এড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকেও। তার পরই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। যদিও শুভেন্দুবাবুর দাবি, পদমর্যাদার সঙ্গে আপস করবেন না তিনি।
বুধবার রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা যায় বিজেপিত্যাগী ২ বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী ও বিশ্বজিৎ দাসের পাশে নির্ধারিত হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আসন। এর পরই অনুষ্ঠানে যাবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘ইচ্ছা করে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য রাজ্যসভার দু-এক জন মনোনীত সাংসদ যারা তৃণমূল করেন তাদের পিছনে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা নিয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনও আপত্তি নেই। আমি আমার পদমর্যাদার সঙ্গে আপস করব না। আগের বিরোধী দলনেতারা কেউ কেউ করেছেন। কিন্তু ১৯৫৭ সাল থেকে যারা বিরোধী দলনেতা হয়েছেন, জ্যোতিবাবু থেকে সিদ্ধার্থশংকর রায় তারা কখনোই চেয়ারের পদমর্যাদার সঙ্গে আপস করেননি’।
মমতাকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের আয়োজক তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রক। যার মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী নিজে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া যেখানে একটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। সহ্য করতে পারছেন। পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে যব্দ করতে পারছেন না। রাজনৈতিকভাবে আটকাতে পারছেন না। ১৯৫৬ সালে হারা যন্ত্রণা, অব্যক্ত ব্যাথা ভুলতে পারছেন না। যে আমার আত্মজীবনীতে লেখা থাকবে ২০২১ সালে আমি বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৯৫৬ ভোটে নন্দীগ্রামে হেরেছিলাম। তাই আমি রেগুলার চিফ মিনিস্টার নই, কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার’।