আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তার পরিবার। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন। গতকাল রাতে তিনি দীপঙ্করের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পরেই তিনিও সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশি অত্যাচারে দীপঙ্করের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তার পরিবার।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দীপঙ্কর সক্রিয় বিজেপি কর্মী হওয়ার কারণে পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই পুলিশ ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গে শাসকদল নিজেদের কাজে পুলিশকে ব্যবহার করছে। অপরাধীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা এই ঘটনায় আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই আজাদগড়ের বাসিন্দা দীপঙ্কর সাহাকে কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থানায় ডেকে নিয়ে যায়। পরিবারের দাবি, যারা থানায় ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা বলেছিলেন ‘বড়বাবু থানায় ডাকছেন।’ এরপর ওই রাতে গুরুতর জঘম অবস্থায় বাড়ি ফেরেন দীপঙ্কর। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশ তাকে বাড়ির কিছুটা আগেই ছেড়ে দিয়েছিল। দীপঙ্কর তার পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছিলেন, পুলিশ কর্মীরা তাকে মারধর করেছেন। এরপর ওই রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় দীপঙ্করের।
২ আগস্ট তাকে শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশি অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে দীপঙ্করের। ইতিমধ্যেই ডিসির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তিন পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, দীপঙ্করের দাদা, রাজীব সাহা পুরভোটে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন। ফলে সেই কারণেই তার এই পরিণতি কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।