সভা শেষে অ্যাকশন হবে। শনিবার ডায়মন্ড হারবার রওনা হওয়ার আগে তৃণমূলকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে শাসকদলকে মনে করালেন, ‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।’
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘মাঠে যে কজন মানুষ প্রাণ নিয়ে মাঠে আসতে পেরেছেন তাদের সামনে বক্তব্য রাখব। তার পর যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিচ্ছি। তৃণমূল যেন মনে রাখে দক্ষিণবঙ্গে আরেকটা সভা হচ্ছে’।
বিরোধী দলনেতা জানান, ‘আমার যাওয়ার রাস্তাটা বাদে সব রাস্তা তৃণমূল আটকে রেখেছে। ভোট পরবর্তী হিংসার আসামিরা মাঠে নেমেছে। কুলপিতে বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গাড়ি ভাঙচুর করাচ্ছে। একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষকে অপব্যবহার করছে তৃণমূল। পালটা অ্যাকশন হবে, ছাড়ার কোনও জায়গা নেই’।
এর পরই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। এগুলো কখনও করতে নেই। চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়। মমতা ব্যানার্জিকেও চুলের মুঠি ধরে সিঙুর থেকে তুলে নিয়ে এসেছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকও কাঁদতে কাঁদতে গান্ধী মূর্তির নীচে বসতে হয়েছিল। আমিও চাইলে এখুনি মারিশদা থেকে কোলাঘাট পর্যন্ত ২০ জায়গায় এখুনি কাঠের গুঁড়ি ফেলিয়ে দিতে পারি। তিন সেকেন্ড লাগবে আমার। কিন্তু আমি করব না। পশ্চিমবঙ্গের লোককে দেখাব’।
শনিবার ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউজ মাঠে সভা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। ওদিকে কাঁথি কলেজের মাঠে সভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।