মুকুল রায়ের রাজনৈতিক অবস্থানকে ঘিরে বিড়াম্বনায় তৃণমূল ও বিজেপি উভয় পক্ষই। এদিকে মুকুল রায় বিজেপিতেই আছেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার। আর বিধানসভার স্পিকারের বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দলবিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে আপাতত সেই আবেদন শোনেনি সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
২১শের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন মুকুল রায়। এদিকে ভোটে বিজেপির ভরাডুবির পরে আচমকাই তৃণমূলে ভবনে পুত্রকে নিয়ে চলে যান মুকুল রায়।এমনকী খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোর উপস্থিতিতে তাঁকে কার্যত উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা, অভিষেক ও মুকুল রায়ের এক ফ্রেমে থাকা সেই ছবি নজর কাড়ে অনেকের। এদিকে এরপরই বিধায়ক পদ খারিজের জন্য স্পিকারের কাছে আবেদন করে বিজেপি। কিন্তু এসবের মধ্যেই নানা বেফাঁস কথা বলতে শুরু করেন মুকুল। বার বার প্রশ্ন ওঠে মুকুল রায় এখন কোন দলে?
এদিকে স্পিকার জানিয়ে দেন, বিজেপিতেই আছেন মুকুল রায়। বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দলত্য়াগ বিরোধী আইনের আওতায় মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। তা নজরে রেখেই এই আবেদন খারিজ করা হয়েছে। মুকুল রায় আপাতত বিজেপিতেই আছেন। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে সেখান থেকে আপাতত হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।