বৃহস্পতিবার ফের একবার বিধানসভার স্পিকারের ডাকা শুনানিতে গরহাজির ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক ও বর্তমান তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের হয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন সরকারি মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। সেই চিঠিকে হাতিয়ার করেই এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ঘুঁটি সাজাতে শুরু করবে বিজেপি। এমনই ইঙ্গিত দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
কাগজে কলমে মুকুল বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ক এবং বর্তমানে রাজ্য বিধানসভার পাবলিক অ্যাকউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের শুনানির চতুর্থ দিন ছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে অনুপস্থিত থাকেন মুকুল রায়। এ নিয়ে সরব হন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ অধ্যক্ষের ঘরে শুনানি শুরু হয়। আধঘণ্টা শুনানি চলে। সেই সময় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়ে জানান যে, মুকুল রায় অসুস্থতার কারণে এদিন শুনানিতে যোগ দিতে পারছেন না। এরপরই শুভএন্দুর যুক্তি, মুকুল রায় যে এখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি, শাসক দলেপ পরিষদীয় দলের সচেতকের লেখা চিঠি সেই কথা প্রমাণ করে দিচ্ছে।
শুভেন্দু বলেন, 'এক মাস আগে মুকুল রায় ৪ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। তাঁকে অধ্যক্ষ মহোদয় ৪ সপ্তাহের বেশি সময় দিয়েছিলেন। আর মুকুল রায় যে তৃণমূল পরিষদীয় দলের সদস্য হয়েছেন, তার প্রমাণ আজ দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক অর্থাৎ সরকারি দলের সরকারি চিফ হুইপ নির্মল ঘোষ অধ্যক্ষকে জানিয়েছেন মুকুল রায় অসুস্থতার কারণে আজকের শুনানিতে থাকতে পারছেন না।' শুভেন্দুর দাবি, মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের পরিষদীয় দলের সদস্য, তাই দলত্যাগ বিরোধী আইন এখনই কার্যকর করা দরকার। এদিকে মুকুল রায়ের অনুপস্থিতিতে ১২ নভেম্বর আগামী শুনানির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ।