তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রের তরফে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয় তাঁকে। তা সত্ত্বেও বারংবার বিভিন্ন জায়গায় সফরে বাধা পেতে হয়েছে তাঁকে। এহেন শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে নাকি এবার সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। এহেন অভিযোগ এনেই ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, নিরাপত্তা বলয় থাকা সত্ত্বেও কেন বারংবার নেতাই, বাঁকুড়া, কাঁথিতে তাঁর সফরে বিঘ্ন ঘটেছে।
এদিকে শুভেন্দুর এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা রাজ্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন। আগামী ১৮ জানুয়ারির মধ্যে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে। এরপর ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি নেতাই গণহত্যার শহিদ স্মরণে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ কিন্তু রাজ্য পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায়, তিনি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন৷ সেই মামলায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানিয়ে ছিলেন, নেতাই যাওয়ার জন্য আলাদা করে শুভেন্দু অধিকারীকে অনুমতি নেওয়ার দরকার নেই৷ কিন্তু, ৭ জানুয়ারি শুভেন্দু অধিকারীকে নেতাইয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ এনিয়ে আজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে নেতাইয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন শুভেন্দু।