বার্ধক্য ভাতা পেতে গেলে ফোন করতে হবে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ হেল্পলাইনে। কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিজের নামে চালাতে এই কৌশল নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণকুমার মাইতির নাম করে ফেসবুকে করা একটি পোস্ট শেয়ার করে এই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, তৃণমূলের লোকেদের বার্ধক্য ভাতা পাইয়ে দিতে এই ফন্দি এঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল সোশ্যাল অ্যাসিস্টান্স প্রোগ্রাম’এর অধীনে রাজ্যে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৫ শ’ ১০ জন বার্ধক্য ভাতা পান। এর থেকে বেশি একজনকেও বার্ধক্য ভাতা দেওয়ার ক্ষমতা নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। অথচ দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে প্রায় ১২ লক্ষ ৬৫ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। তাদের ভাগ্যে কবে সিঁকে ছিঁড়বে কেউ জানে না। কারণ, এখন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-র নম্বরে ফোন করে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে হচ্ছে’।
এর পর শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘এব্যাপারে এগরার তৃণমূল বিধায়ক তরুণকুমার মাইতির বার্তা সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। সেটি শেয়ার করলাম।’ প্রবীণদের কাছে শুভেন্দুর আবেদন, ‘আপনারা দ্রুত সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর নম্বরে ফোন করে নাম নথিভুক্ত করুন। নইলে নিজেদের দলের সমর্থকদের ভাতা দিয়ে দেবে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন না দিলে এই ভাতা দেওয়া যায় না। তাই একবার সুযোগ হাতছাড়া হলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করুন বা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে লাইন দিন, কোনও কাজ হবে না।’
যদিও এরকম কোনও পোস্ট তিনি করেননি বলে দাবি করেছেন তরুণবাবু। তিনি বলেন, ‘এই পোস্ট আমার করা নয়। পোস্টটি ভুয়ো। কে এই পোস্ট আমার নামে করল তাকে আগে খুঁজে বার করি। তার পরে দেখছি।’