বাংলাদেশ ইস্য়ুতে বিস্ফোরক পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ইউনুস সরকারকে 'তালিবানি' আখ্যা দেন তিনি। পাশাপাশি ইউনুসের সরকারের সঙ্গে এরাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তুলনা টানেন তিনি। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দেন, আজ রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে বাংলাদেশ ইস্যু যে সভা হবে, তাতে তিনি উপস্থিত থাকবেন। (আরও পড়ুন: 'পরিস্থিতি ভালো করতে আমাদের পাঠানো হোক বাংলাদেশে', বললেন মমতার মন্ত্রী)
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনজীবী খুনে গ্রেফতার আরও এক হিন্দু; কিরিচ দিয়ে কুপিয়েছিল, বলল পুলিশ
শুভেন্দু অধিকারী আজ বলেন, 'বাংলাদেশে তালিবানি সরকার চলছে। পাকিস্তানকে সরাতে দেড় বছর সময় লেগেছে ১৯৭১ সালে। এখন তো মাত্র চার মাস হয়েছে এই সরকারের। জানুয়ারির শেষ অবধি অপেক্ষা করুন। তালিবানি সরকার সংবিধান বদলানোর চেষ্টা করছে। সবচেয়ে দূর্ভাগ্যজনক আমাদের আজ রানি রাসমণিতে আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করতে হচ্ছে। ওপারের সরকার যা, এপারের রাজ্য সরকার তা। আমি হিন্দু, আমি আজ যাব রানি রাসমণির সভায়।' (আরও পড়ুন: 'এক মুখ্যমন্ত্রীর তো কথার ওজন থাকবে', মমতার মন্তব্য এখনও হজম হচ্ছে না ইউনুসদের)
প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠে আসছে। হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই মন্দির থেকে শুরু করে হিন্দুদের বাড়িঘরে ভাঙচুর চলেছে। সেই সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে বিএনপি-জামাত দেখেছিল 'আওয়ামি লিগের ষড়যন্ত্র'। তবে কয়েক মাস যাওয়র পর সেই দেশে হিন্দুদের অবস্থা যেন আরও খারাপ। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। এরই মাঝে চট্টগ্রামে হিন্দু এবং বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘু অত্যাচারে সেখানে অভিযুক্ত খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুর গ্রেফতারি ঘিরে আরও উত্তাল হয় পরিস্থিতি। এদিকে সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাংলাদেশের কট্টরপন্থীরা পথে নেমেছে। 'জুলাই বিল্পবের' ছাত্র নেতারাও ইসকনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একদিন আগেই আবার সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এই আবহে কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ নিয়ে মমতা বলেছিলেন, 'বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা যেন রাষ্ট্রসংঘে উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় সরকার। ১০ দিন হয়ে গেল। কিন্তু পুরো বিষয়টি নিয়ে চুপ করে আছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল প্রতিদিন মিছিল করছে। মিছিল করার অধিকার আছে। সীমান্ত আটকে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে সীমান্তের বিষয়টা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে আছে। আর রাজ্য সরকার কেন্দ্রের পরামর্শ মেনেই চলবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ শান্তিরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা দরকার। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে যে ভারতীয়রা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের এই রাজ্যে ঠাঁই দিতে তৈরি আছি আমরা। তাঁদের খাদ্যের কোনও অসুবিধা হবে না।'