পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নিয়ম মেনে আসন সংরক্ষণ হচ্ছে না বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের অভিযোগ, ভোটের আগে পঞ্চায়েতের সর্বনিম্ন স্তরে পুনর্বিন্যাস এবং সংরক্ষণে অনিয়ম করে শাসকদলকে সাহায্য করছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসন। এই নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন শুভেন্দু। তবে কমিশনের জবাবে সন্তুষ্ট হননি তিনি। এই পরিস্থিতিতে এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপসিলি জাতি ও উপজাতি সংক্রান্ত তথ্যে গরমিল করে তৃণমূল কংগ্রেসকে সাহায্য করছে ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলে এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের দ্বারা প্রকাশিত সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে চিঠি দিয়েছিলাম। আমায় জবাবি চিঠি দেওয়া হয়ছে। কিন্তু সেই জবাব সন্তোষজনক নয়। মুখ্যমন্ত্রী যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচন দ্রুত করাতে চাইছেন, তাই রোস্টার দ্রুততর করতে গিয়েই এই গরমিল। আমরা আইনি পথে হাঁটব।’ যদিও বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এর আগে শুভেন্দু এক টুইট করে লেখেন, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য আসন পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া এবং আসন সংরক্ষণের প্রক্রিয়ায় গুরুতর অসঙ্গতি রয়েছে। স্থানীয় স্তরে ক্ষমতাসীন দলের প্রয়োজন অনুসারে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের এলাকাভিত্তিক জনসংখ্যার তথ্যের গরমিল করার সুযোগ ও সুযোগ রয়েছে ব্লক প্রশাসনের কাছে। ব্লক প্রশাসনের বিবেচনার উপর নির্ভর করে সন্দেহজনক পদ্ধতি ব্যবহার করে তপশিলি জাতি এবং উপজাতিদের জনসংখ্যা গণনা করা হয়েছিল। এসসি ও এসটি জনসংখ্যার গণনার ডেটা প্রকাশ না করা হলে তা হেরফের এবং পরিবর্তন করা হতে পারে। এতে এসসি ও এসটি সম্প্রদায়ের সদস্যদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এই পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়া একটি প্রহসন!’