পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তৃণমূল কংগ্রেসের ছায়া সংগঠন বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার কমিশন প্রকাশিত খসড়া সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে আপত্তি জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, কোনও সমীক্ষা ছাড়াই তৈরি হয়েছে ওবিসি সংরক্ষণের তালিকা। এভাবে নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকেই তৃণমূলকে অ্যাডভান্টেজ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে কমিশন।
এদিন শুভেন্দুবাবু কমিশন থেকে বেরিয়ে বলেন, ‘ওবিসির সংখ্যা এবং জনসংখ্যায় প্রতিনিধিত্বের হার পাওয়া যাবে না। কিন্তু এই অল্প সময় যেহেতু সমীক্ষা করতে পারবে না। তাই তৃণমূল কংগ্রেসকে পঞ্চায়েতে জেতার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার জন্য তাঁবেদার রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারা বলল স্থানীয়ভাবে তদন্ত করে তথ্য জোগাড় করা হবে বা সমীক্ষা হবে। আমি কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়ে দাবি করেছি যে এই খসড়া সমীক্ষা বাতিল করে ওবিসি জনসংখ্যা ৭.৫ শতাংশ ধরে নতুন সংরক্ষণের তালিকা আপনাকে বার করতে হবে।’
শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ‘বিরোধীরা যাতে কমিশনের সিদ্ধান্তে আপত্তি জানাতে না পারে সেজন্য ছুটির মধ্যে এই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। কেউ এই খসড়ার কথা জানে না। খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে ১৮ অক্টোবর। আর পরামর্শ দানের শেষ দিন ২ নভেম্বর। এর মধ্যে ২ – ৩টি কর্মদিবস রয়েছে। এমনকী ২ নভেম্বরও ছুটির দিন।’
শুভেন্দুর প্রশ্ন, ‘স্থানীয়ভাবে তদন্ত মানে কী? তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক স্তরের নেতারা, যারা ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে। গ্রামের মানুষকে বঞ্চিত করেছে। সীমাহীন কাটমানি সিন্ডিকেট তোলাবাজির সৃষ্টিকর্তা যারা। তাদের সঙ্গে বসে বিডিওরা সর্বত্র এই কাজ করেছে। এর ফলে মূল নিয়ম মানা হয়নি।’
শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘ওনারা যদি ক্ষমতাবলে খসড়া তালিকাকে চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করেন তাহলে কোর্টের দ্বারস্থ হবো। নির্বাচন ঘোষণার আগেই আদালতে যাব আমরা।’