এবার মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকার উদ্যাগের প্রশংসা শোনা গেল বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। সম্প্রতি মুখ্যসচিব নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি দফতরের দখল হওয়া জমির তালিকা চেয়েছেন। আর তাই নিয়ে প্রশংসা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন শুভেন্দু অধিকারী। অবশ্য এরই সঙ্গে ছিল কটাক্ষ এবং পরামর্শ। শুভেন্দু নিজের সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় লেখেন, তৃণমূল ও তার শাখা সংগঠন কোথায় কত সরকারি জমি বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে তা যেন উল্লেখিত থাকে তালিকায়। আবার সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, রোহিঙ্গারা বাংলায় কতখানি জমি জবরদখল করে রেখেছে তাও খতিয়ে দেখা উচিত। (আরও পড়ুন: ম্যাজিক ফিগার '২৭.৫',সরকারি কর্মীদের বেতন-DA নিয়ে CM-এর বড় সিদ্ধান্ত ক্যাবিনেটে)
আরও পড়ুন: NET-এর পরে কি এবার বাতিল হবে NEET? প্রশ্নকাণ্ডে যা জানাল সুপ্রিম কোর্ট
উল্লেখ্য, সম্প্তি রাজ্য সরকারের অধীনে থাকা সব দফতরের প্রধান এবং জেলাশাসকদের নিজের এলাকায় জবরদখল হওয়ে থাকা সরকারি জমির তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা। ২১ জুন, আজকের মধ্যে সেই তালিকা আন্ডার সেক্রেটারিকে মেল করে দেওয়ার কথা বিভাগীয় প্রধান এবং জেলাশাসকদের। (আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্য সুখবর, নীরবেই জারি নয়া বিজ্ঞপ্তি, সই রাজ্যপালের)
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দুর্ঘটনায় জমা পড়ল 'জয়েন্ট রিপোর্ট', বিস্ফোরক দাবি লোকো ইন্সপেক্টরের
আরও পড়ুন: এগিয়েছে বর্ষা, বাংলায় জায়গায় জায়গায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, সঙ্গে হবে ঝড়
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীদের নিয়ে নবান্নের বৈঠকে জমি দখল ইস্যুতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিতে নবান্নে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা রয়েছে। তা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা। এর আগে সন্দেশখালি থেকে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে জোর ঝড় উঠেছিল। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতির বৈঠকে নির্দেশ দিলেন, কলকাতায় জমি মাফিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই সঙ্গে বিধাননগরেও জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নাকি বলেন, ‘কিছু কিছু অফিসার টাকা খাচ্ছেন।’ এদিকে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের জমিতে বেআইনিভাবে গড়ে তোলা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়। সেই কার্যালয় ভাঙার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তা নিয়েও সাম্প্রতিক সময়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। এরই মাঝে জবরদখল হওয়া সরকারি জমির তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। আর তা নিয়ে প্রশংসা শোনা গেল শুভেন্দুর গলায়।