প্রাথমিক টেটের দিন বদল করে ‘লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচির দিন ফেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে হিন্দুবিরোধী বলে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ১০ ডিসেম্বর নয়, প্রাথমিক টেট হবে ২৪ ডিসেম্বর। সেদিনই কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলি। সেদিনই প্রাথমিক টেট ঘোষণা করায় রাজ্য সরকারকে কার্যত তুলোধোনা করলেন শুভেন্দুবাবু।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠ’-এর পূর্বঘোষিত কর্মসূচির দিন ইচ্ছা করে করেছে। হিন্দু বিরোধী সরকার। যাতে গীতা পড়তে লোক না যায়, গাড়ি ঘোড়া না পায়, সেইজন্য করেছে। এই সরকার সম্পূর্ণ হিন্দুবিরোধী। তোষণের রাজনীতি করে ভোটব্যাঙ্কের জন্য। প্রকৃতপক্ষে সংখ্যালঘুদের উপকার চায় না। তাদের এগুলো দেখিয়ে দরদী সাজার চেষ্টা করে। যাতে ভোটের সময় তাদের কাছ থেকে NRCর মতো কিছু দেখিয়ে ভোট নেওয়া যায়। এটাই আসল কারণ’।
গত ৪ ডিসেম্বর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানানো হয়, অনিবার্য কারণে ১০ ডিসেম্বরের বদলে প্রাথমিক টেট অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ডিসেম্বর। পর্ষদ সচিব গৌতম পাল বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে কিছু নতুন পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেছি। সেগুলি কার্যকর করতে আরও কিছু সময় লাগবে।’
তবে বিজেপিসহ হিন্দু সংগঠনগুলির দাবি, গীতা জয়ন্তীর দিন লক্ষকণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠান বানচাল করতে এই পরিকল্পনা করেছে সরকার। এবছর প্রায় ৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক টেটের ফর্ম ফিল আপ করেছেন। তারা পরীক্ষার হলে পৌঁছনোর জন্য গণপরিবহণের ব্যবস্থা করবেন। যার ফলে রাস্তায় ট্রেনে - বাসে ব্যাপক ভিড় ও যানজট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সনাতনীদের ব্রিগেডে পৌঁছতে বাধা দিতেই এই পদক্ষেপ বলে দাবি বিজেপির।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘তোষণের রাজনীতি করার ফলে এই সরকারের পরিণতি রাজস্থান, ছত্তিসগড়ের মতো হবে। মানুষ এই সরকারকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।’