অন্যবার হলে নিশ্চয় মেদিনীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতেন তিনি। কিন্তু এবার মেদিনীপুরে মমতার জনসভার দিন কলকাতায় পাড়ি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যে কলকাতায় পৌঁছেও গিয়েছেন তিনি। তবে কলকাতায় তাঁর গন্তব্য ঠিক কোথায়, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।
সোমবার দুপুরে মেদিনীপুরে জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন মমতা। সেখানে ছিলেন না অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্য। নাম না করে সেখান থেকে শুভেন্দুকেও বার্তা দেন মমতা। কার্যত সেই সময় কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাড়ি থেকে কোলাঘাটে আসেন শুভেন্দু। সেখানে একটি অতিথিশালায় কিছুক্ষণ থাকেন। তারপর দুপুর তিনটে নাগাদ কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। তারপর বিদ্যাসাগর সেতু, মা উড়ালপুল, মৌলালি ধরে সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়ির কাছে পৌঁছায় শুভেন্দুর কালো গাড়ি। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে যেতে সেখানে গাড়ি থেকে নামেননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বরং সেখানে কিছুটা দাঁড়িয়ে আর্মহার্স্ট স্ট্রিট হয়ে বৌবাজারের দিকে এগিয়ে যায় শুভেন্দুর গাড়ি।
সূত্রের খবর, শুভেন্দুর ঘনিষ্ঠ মহলও ‘দাদা’-র পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ধন্দে আছেন। তবে শনিবার রাতে নন্দীগ্রামের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন শুভেন্দু। সেখানে সদ্য অপসারিত নন্দীগ্রাম-১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি মেঘনাদ পাল-সহ কয়েকজন ‘কাছের’ নেতা ছিলেন বলে সূত্রের খবর। সেখান থেকে জল্পনা ছড়িয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু।
পরদিনই শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পণ্ডা জানিয়েছিলেন, দক্ষিণ কলকাতার কোনও জায়গা থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই ‘যা বলার, বলবেন’ প্রাক্তন মন্ত্রী। তবে সেই জায়গাটা কোথায়, তা স্পষ্ট করে জানাননি তৃণমূল জেলা সম্পাদক। সেই মন্তব্যের পরদিনই কলকাতায় এলেন শুভেন্দু। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আগামী বুধবার দু'দিনের সফরে বাংলায় আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। তার ফলে শুভেন্দুর কলকাতা আগমন নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।