রাজ্যে দ্রুত বিধানসভা উপনির্বাচন করানোর দাবিতে মঙ্গলবারই দিল্লিতে কমিশনের সঙ্গে দেখা করেছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। তবে রাজ্যে এখনই উপ-নির্বাচনের পক্ষে নন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘আগে পুরসভা ও ছাত্র সংসদের ভোট করাক রাজ্য সরকার।’
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সেজন্য মাদ্রাজ হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছিল কমিশনকে। আমার মনে হয় সেই পরিস্থিতির এখনো বদল হয়নি। তাই এখুনি উপ-নির্বাচন করানো ঠিক হবে না। তাছাড়া রাজ্যে ২ বছর ধরে পুরসভা নির্বাচন ও ৪ বছর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। যারা নির্বাচন করাতে পারে না তারা উপ-নির্বাচনের দাবি করে কী করে?’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝে বিজেপি। তাই উত্তরাখণ্ডে বিধায়ক নন এমন ব্যক্তিকে সরিয়ে একজন বিধায়ককে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে।’
বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসন থেকে পরাজিত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরেছেন তিনি। তার পরেও পরিষদীয় দলের নেত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর আসন ফিরে পেয়েছেন তিনি। কিন্তু ৬ মাসের মধ্যে উপ-নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হতে না পারলে পদত্যাগ করতে হবে মমতাকে। নইলে রাজ্যে তৈরি হবে সাংবিধানিক সংকট।