মঙ্গলবার থেকেই জল্পনা চরমে ওঠে। অবশেষে অবসান জল্পনার। বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ ছাড়লেন শুভেন্দু। বুধবার বিকেল পৌনে ৪টে নাগাদ তিনি বিধানসভায় পৌঁছন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, নিজের হাতে লিখে পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন তিনি। তবে এদিন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় না থাকায় তাঁর সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
হাতে লেখা ইস্তফাপত্রে শুভেন্দু অনুরোধ করেছেন দ্রুত তাঁর পদত্যাগ যাতে গ্রহণ করা হয়। বিধানসভায় এদিন অধ্যক্ষ না থাকায় তাঁকে ই–মেল করে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। তবে বিধানসভার অধ্যক্ষ এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, আপাতত শুভেন্দুর ইস্তফাপত্র গৃহীত হচ্ছে না। যে ভাবে বিধানসভার সচিবের কাছে শুভেন্দু অধিকারী ইস্তফাপত্র দাখিল করেছেন তা বৈধ নয়। এভাবে সচিবের কাছে ইস্তফাপত্র দেওয়া যায় না। এবং ইস্তফাপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে সচিবেরও কোনও এক্তিয়ার নেই। শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হবে কিনা সে ব্যাপারে পরবর্তীকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এখন ছাড়লেন বিধায়ক পদ। ধাপে ধাপে এর আগেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ছেড়েছেন তিনি। সাম্প্রতিক খবর, শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহয়ের হাত ধরে শুভেন্দু বিজেপি–তে যোগ দিতে চলেছেন। এদিন বিধায়ক পদ ত্যাগ করে সেই সম্ভাবনাকে আরও জোড়ালো করলেন শুভেন্দু অধিকারী।