বৃহস্পতিবার দল ছেড়ে তিনি তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে শুভেন্দু কোনও পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় এখনও পর্যন্ত কোনও কারণ দেখাননি।
তৃণমূল ছাড়লেন শুভেন্দু অধিকারী। মন্ত্রিত্ব, বিধায়ক পদের পর এবার সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু। ২৭ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন শুভেন্দু। গতকাল, বুধবার তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর আজ, বৃহস্পতিবার দল থেকে সরে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র সরাসরি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠিয়েছেন।
১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সদ্য গঠন করা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার, ১৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ এই ২২ বছরের সম্পর্ক শেষ করলেন শুভেন্দু।
তৃণমূলের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা চেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে শুভেন্দু লেখেছেন, তিনি রাজনৈতিক দল থেকে সদস্যপদ ছাড়লেন। একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই দলে তিনি দীর্ঘদিন কাজ করতে পেরেছেন, মানুষের উপকার করতে পেরেছেন এবং তিনি তাঁর জীবনের অনেকটা সময় এই দলে কাটিয়েছেন, তার জন্য তিনি ধন্য। তবে দল ছাড়ার কোনও কারণ চিঠিতে উল্লেখ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অনুরোধ করেছেন যাতে এই পদত্যাগপত্র দ্রুত গৃহীত হয়।
মন্ত্রিত্ব, বিধয়াক পদ ছাড়াও শুভেন্দু হলদিয়া ডেভলপমেন্ট অথিরিটি, এইচআরবিসি–র চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বৃহস্পতিবার দল ছেড়ে তিনি তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন। কিন্তু উল্লেখযোগ্যভাবে শুভেন্দু কোনও পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় এখনও পর্যন্ত কোনও কারণ দেখাননি।