দেড় ঘণ্টার বেশি চলল ‘হাইভোল্টেজ’ বৈঠক। তাতেও অবশ্য পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ‘মানভঞ্জন’ করতে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্র মারফত এমন খবরই মিলেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দুর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব প্রকট হয়েছে। নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু। কিন্ত ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবেন, তা নিয়ে খোলসা করে কিছু জানাননি। তৃণমূলের তরফেও ধোঁয়াশা বজায় রাখা হয়েছে। দ্বিমুখী নীতি নিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুকে আক্রমণ শানাতে থাকেন। অন্যদিকে নরম বার্তা দিতে থাকেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদাররা। সেই পরিস্থিতির মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার কাছে একটি জায়গায় বৈঠকে বসেন সৌগত রায় এবং শুভেন্দু।
সূত্রের খবর, সোমবার সল্টলেকের পরিবহন দফতরে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। সেখান থেকে বেরিয়ে বৈঠকের জায়গায় যান। দেড় ঘণ্টারও বেশি চলে সেই বৈঠক। বৈঠকে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে যথারীতি মুখে কুলুপ এঁটেছে দু'পক্ষ।
তবে দুই শিবির সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে কোনও জট কাটেনি। মেলেনি কোনও ইতিবাচক ফল। বরং নিজের অবস্থানে অনড় থেকে দলের পরিচালনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু। সাংগঠনিক রদবদলেরও দাবি জানিয়েছেন। আগে যেমন তিনি একাধিক জেলায় তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই পদ চেয়েছেন শুভেন্দু। যদিও তাঁকে জানানো যায়, এখন তৃণমূলে সেরকম কোনও পদ নেই। ফলে দেড় ঘণ্টার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি বলে সূত্রের খবর। তারইমধ্যে দুই শিবিরের দাবি, চলতি সপ্তাহে আবারও বৈঠক করতে পারেন সৌগত ও শুভেন্দু।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম বৈঠকেই যে ‘মানভঞ্জন’ হবে, তা একেবারেই প্রত্যাশিত ছিল না। কারণ শুভেন্দু ও তৃণমূলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মান-অভিমান চলছে। ফলে দু'পক্ষের সমঝোতা হতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে সেই বৈঠক থেকে ইতিবাচক দিকের সন্ধান করতে পারে। কারণ অত্যন্ত সৌগতের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছেন শুভেন্দু। তা কাজে লাগিয়ে শুভেন্দু ঘাসফুল শিবিরেই রাখা যায় কিনা, সেটাই আগামিদিনে তৃণমূল নেতাদের বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে।