বিজিবিএস ২০২৫। সেখানে দেশ বিদেশ থেকে এসেছেন শিল্পোদ্যোগীরা। খোদ বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, এবারের বিজিবিএসে তাৎপর্যপূর্ণ সাফল্য এসেছে। এসবের মধ্য়েই বোমা ফাটালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'বাংলার এই বিমানবন্দরগুলি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার আওতায় রয়েছে।
কলকাতা
বেহালা
কোচবিহার
মালদা( রাজ্য সরকারের লিজে)
বালুরঘাট( রাজ্য সরকারের লিজে)
আসানসোল
দুর্গাপুর( অন্ডাল)
হাসিমারা ও কলাইকুন্ডাতে নতুন সিভিল এনক্লেভ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।'
'প্রথমত অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে বার বার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের জন্য জমি চাওয়া হয়েছে । সেকারণে একটি মসজিদকে সরাতে হবে। মাজারের কাছে একটা প্রাচীর তৈরি করতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার কোনও জবাব দেয় না।
দ্বিতীয়ত প্রাক্তন সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রীরা রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রীকে বার বার চিঠি লিখেছিলেন। কলকাতার পাশাপাশি একটি দ্বিতীয় বিমানবন্দর তৈরির জন্য। সেখানেও ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি।
ওপরে উল্লিখিত সমস্ত বিমানবন্দরেই জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্য়া রয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার সমস্যা মেটাতে কোনও ইতিবাচক ভূমিকা নেয় না।
আমি আশা করব মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় সমস্ত বিনিয়োগকারীদের ও অন্যান্য অতিথিদের এই আশ্বাস দেবেন যে তাঁর সরকার জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যা মেটাবেন যাতে আকাশপথে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধি পায়। যেটা কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে দিতে চায়। এর মাধ্য়মে শিল্পায়নের উদ্যোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।' লিখেছেন শুভেন্দু।
সেই সঙ্গেই তিনি একাধিক নথি তুলে ধরেছেন।
শুভেন্দু একাধিক নজির তুলে ধরে দাবি করেছেন বিমানবন্দরগুলির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটা বড় অন্তরায় হল জমি। কিন্তু বার বার বলেও জমি সংক্রান্ত সমস্যা মেটাচ্ছে না রাজ্য সরকার।
তবে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী অবশ্য শিল্পোদ্যোগীদের সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এবারের বিজিবিএসে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। মমতা তাঁদেরকে সাদরে অভ্য়র্থনা জানিয়েছেন।
তবে এবার বিজিবিএসের মঞ্চেও এই উড়ানের প্রসঙ্গ উঠেছিল।
মমতা জানিয়েছিলেন, কলকাতা থেকে যাতে ইউরোপ পর্যন্ত সরাসরি উড়ান পরিষেবা চালু করা হয়, সেজন্য টাটার মালিকাধীন এয়ার ইন্ডিয়া, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ এবং জার্মানির লুফথানসাকে অনুরোধ করেছেন। এমনকী টাটা গ্রুপের থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াও মিলেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গে ‘অনেক কিছু’ করতে চান বলে আশ্বাস দিয়েছেন টাটা সনসের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরন।