মাদারের সংস্থা নিয়ে মমতার ‘ভুয়ো খবর’,মুখ্যমন্ত্রীর ‘উদ্দেশ্য’ নিয়ে তোপ শুভেন্দুর

মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মাদার টেরেসার সংস্থার কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এরপরই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী।

শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্য পিটিআই এবং এএনআই)

সোমবার মিশনারিজ অব চ্যারিটির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে একটি টুইট করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ নিয়ে মুখ খুলে মিশনারিজ অফ চ্যারিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মাদার টেরেসার সংস্থার কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। আর এরপরই মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

এক টুইট বার্তায় মিশনরিজ অফ চ্যারিটির বিবৃতির ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে শুভেন্দু লেখেন, ‘নির্দিষ্ট ভাবে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি করতে ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যখন একটি মানুষ এমন একটি পদে (মুখ্যমন্ত্রী) আছেন, তখন তাঁর এমন মিথ্যাচার ভুল তথ্যের কারণে নয়, বরং ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা। কিন্তু সত্যি সবসময় প্রকাশ্যে আসে এবং যারা সত্যের পথে চলে তার হয়েই সত্য কথা বলে।’

এদিকে ঘটনার প্রেক্ষিতে সোমবার সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দাবি করে, কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বরং মিশনারিজ অফ চ্যারিটি কর্তৃপক্ষই তাদের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজ করার আবেদন জানিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে আবেদন করেছিল। তাদের বক্তব্য, মাদার টেরেসার হাতে তৈরি সংস্থার ‘বিদেশি অবদান নিয়ন্ত্রণ আইন’ সংক্রান্ত লাইসেন্স পুনর্নবীকরণের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে তারা৷ ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর৷ তাই সেটি পুনর্নবীকরণের জন্য আবেদন জানায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি৷ কিন্তু, বেশ কিছু আপত্তিকর তথ্য হাতে আসায় এই আবেদন খারিজ করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ এরপরই স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখে তাদের সমস্ত অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার আবেদন জানায় মিশনারিজ অফ চ্যারিটি৷