সংবিধান দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর চার মিনিটের সাক্ষাৎ ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একাধিক সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, এই সাক্ষাতের সময় মমতাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন শুভেন্দু। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে বিজেপির অন্দরেই। বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষকে একটি চিঠি লেখেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজকমল পাঠক। এই আবহে এবার মুখ খুললেন শুভেন্দু।
রাজকমলকে কোনও রকম আক্রমণ না শানিয়েও খোঁচা দেন শুভেন্দু। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এই প্রশ্নের উত্তর দেব না। তবে যিনি চিঠি লিখেছেন তিনি দলের বর্ষীয়ান নেতা। আমি চাইব আমার মতো তিনিও একদিন তৃণমূলের কোনও বর্ষীয়ান নেতাকে হারিয়ে বিধানসভায় আসুন।’ এদিকে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে মুখ খুললেও বিষয়টি পরিষ্কার করেননি শুভেন্দু।
এদিকে রাজকমলবাবুর বক্তব্য, তৃণমূলের বিরুদ্ধে যখন দলীয় কর্মীরা কঠিন লড়াই লড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব যদি তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এভাবে সাক্ষাৎ করেন, তাহলে তা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে নিচু তলার কর্মীদের মধ্যে। তাতে কর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে। দলের আদি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে বিভ্রান্তি সবথেকে বেশি বলে দাবি করেন রাজকমলবাবু। যদিও তাঁর বক্তব্য, ‘অল্প সময়ের সাক্ষাতে এত কিছু হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’ তবে তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন যখন উঠেছে, তখন বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া দরকার।’
উল্লেখ্য, দাবি করা হয়, চার মিনিটের সাক্ষাতের সময় নাকি শুভেন্দু অধকারীকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অশোক লাহিড়িকে নাকি অর্থমন্ত্রী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মমতা। সেদিন শুভেন্দু, অশোকবাবুর সঙ্গে মমতার সঙ্গে সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল এবং মনোজ টিগ্গাকেও।