ত্রিপুরা সফরে অমিত শাহের মুখে কেন শোনা গেল না তৃণমূলের নাম? মঙ্গলবার সকালে তা স্পষ্ট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন তিনি বলেন, দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ওই কোম্পানির নাম কেউ মুখে নেবে না।
সোমবার একই সঙ্গে ত্রিপুরায় হাজির ছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার ত্রিপুরায় ২টি সভা করেন শাহ। সেখানে বাম-কংগ্রেসকে তুমুল আক্রমণ করলেও তৃণমূলের নাম তাঁর মুখে শোনা যায়নি। এর পরই দিদি - মোদী সেটিং তত্বে সরব হয় বাম – কংগ্রেস। জোটের নেতারা দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে কুস্তি আর ত্রিপুরায় দোস্তি করছে তৃণমূল।
মঙ্গলবার সকালে দমদম নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা কাউন্টের মধ্যে আনছি না। নোটার থেকেও কম ভোট পাবে। আমাদের পার্টিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোনও সভা সমিতিতে কেউ ওই পার্টির নাম বলবে না। কোম্পানির নাম’।
ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতা ধরে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির কাছে। ওদিকে জাতীয় স্তরে নিজেদের প্রাসঙ্গিক করতে ত্রিপুরা দখল করতে চায় তৃণমূল। তাই প্রচারের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাঠে নামিয়েছে তারা। আর তার আগে পশ্চিমবঙ্গের অনুকরণে সেখানে ইস্তেহার প্রকাশ করেছে দল। সেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারসহ তৃণমূল সরকারের একাধিক খয়রাতি প্রকল্প ত্রিপুরাতেও চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
যদিও বিজেপির দাবি, ত্রিপুরায় তৃণমূলের কোনও প্রাসঙ্গিকতাই নেই। সেখানে তাদের লড়াই বাম কংগ্রেস জোটের সঙ্গে। লড়াই করলেও নোটার থেকে কম ভোট পাবে তারা।