রাজনীতির রং মিলেমিশে গেল সোমেন মিত্রের জন্মবার্ষিকীতে। প্রয়াত কংগ্রেস নেতাকে শ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেস, সিপিআইএম, তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি নেতারা। তারইমধ্যে প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বাড়িতে নজর কাড়ল সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি।
প্রয়াণের পর বৃহস্পতিবার ছিল সোমেনবাবুর প্রথম জন্মবার্ষিকী। সেজন্য আমহার্স্ট স্ট্রিটে সোমেনবাবুর পুরনো বাড়ি এবং বৌবাজারে ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সামনে দুটি পৃথক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, সিপিআইএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্যরা। সেখানে হাজির না থাকলেও দিল্লিতে সোমেনবাবুর ছবিতে মাল্যদান করেন পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
তারইমধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সোমেনবাবুর লোয়ার রডন স্ট্রিটের বাড়িতে যান শুভেন্দু। সঙ্গে ছিলেন শুঙ্কুদেব পণ্ডা, রীতেশ তিওয়ারি। সেখানে সোমেনবাবুর ছবিতে মাল্যদান করেন। দেখা করেন সোমেনবাবুর স্ত্রী শিখা মিত্র এবং ছেলে রোহনের সঙ্গে।
আর সেই উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। বিশেষত শুভেন্দুর উপস্থিতিতে সেই গুঞ্জন আরও বেড়েছে। তাছাড়া একাধিকবার টুইটারে প্রদেশ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ হয়েছেন রোহন। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ‘শ্রদ্ধাশীল’ বলে জানিয়েছিলেন। তারপর তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। এবার সেই গুঞ্জনের তালিকায় যোগ হল বিজেপি।
যদিও রোহন দাবি করেছেন, নিছকই সৌজন্য সাক্ষাৎ শুভেন্দুর আগমন। তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। একই বক্তব্য শুভেন্দু-শিবিরের। তাঁদের বক্তব্য, দল আলাদা হলেও কাঁথির অধিকারী পরিবাবের সঙ্গে সোমেনবাবুর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। শুভেন্দুর সঙ্গেও প্রয়াত কংগ্রেস নেতার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সেজন্যই প্রয়াত নেতার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। তাতে অবশ্য বর্ষশেষের জল্পনা থামছে না।