‘কবে, কোথায়, কখন সেটা…’, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে চান শুভেন্দু

মঙ্গলবার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লাইনের বিজেপির পুরনো সদর দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন একটি সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ পুলিশ কোনও রকমের ভূমিকা পালন করছেন না।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মর্মে তিনি ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে কোনও জবাব আসেনি বলেই অভিযোগ। এ নিয়ে পাল্টা শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য, রাজ্যে শান্তি শান্তি বিরাজ রয়েছে। এর বদলে শুভেন্দুর মণিপুরের দিকে নজর দেওয়া উচিত।

মঙ্গলবার ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লাইনের বিজেপির পুরনো সদর দফতরে একটি সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী দলনেতা বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে। তাতে আক্রান্ত হচ্ছেন একটি সম্প্রদায়ের মানুষ। অথচ পুলিশ কোনও রকমের ভূমিকা পালন করছেন না। হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। রাজনৈতিক কারণে চুপ রয়েছে পুলিশ। তাই এই সমস্ত এলাকায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে শান্তি বজায় রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

এর পাশাপাশি যে সমস্ত এলাকায় এই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটছে এনআইএ- কে  দিয়ে তার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। যদিও তিনি কবে বা কোথায় মুখ্য সচিবের সঙ্গে সে বিষয়টি উল্লেখ করেননি  এরজন্য পন্থের উপরেই তা ছেড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। 

 মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চিঠিতে জানিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বে পাঁচ জন বিজেপি বিধায়ক মুখ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন। গত সোমবার এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত তার কোনও উত্তর আসেনি বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু।

এর পাশাপাশি এদিন আবাসে অনিয়ম নিয়েও এদিন রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। স্বচ্ছ তালিকা প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দু জানান, সঠিকভাবে কাজ করলে তবেই আবাসের টাকা দেওয়া হবে। এদিকে,শুভেন্দুকে পালটা আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি দাবি করেন, বাংলায় শান্তি রয়েছে। কোনও রকমের ঘটনা ঘটলে প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে। শুভেন্দুর এখন মণিপুর নিয়ে কেন্দ্রকে পরামর্শ দেওয়া উচিত । আর আবাসের টাকা কেন্দ্র টাকা দেয়নি। বাংলার মানুষকে কেন্দ্র বঞ্চিত করছে।