ভোট পরবর্তী হিঃসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত বছরের শেষ দিকে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে ধরনায় বসেছিলেন, ঠিক সেই স্থানে এবার ধরনায় বসতে চান তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি ধরনার অনুমতি চেয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গয়ালকে চিঠি দিয়েছেন।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এবং রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাজভবনের সামনে টানা ধরনায় বসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে ওই একই স্থানে ধরনায় বসতে চান শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১৯ জুন থেকে ধরনায় বসার পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
তবে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো উত্তর মেলেনি। বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গেলে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি থাকার যুক্তি দেখিয়ে শুভেন্দু এবং বিজেপি কর্মীদের আটকায়।
আরও পড়ুন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আরও বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি, কোথা থেকে মিলল?
নগরপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু উল্লেখ করেছেন, তৃণমূলকে ওই জায়গায় ধরনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, তাই বিজেপির ক্ষেত্রে ১৪৪ ধারার প্রয়োগ না করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফলাফলের পর রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব চাপে রয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় আসন সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে দলের ভিতরে দায়বদ্ধতার তর্ক শুরু হয়েছে। ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মীদের ওপর আক্রমণের অভিযোগও তুলেছে তারা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের তরফে।
আরও পড়ুন। 'প্রয়োজনে মেলে না সহযোগিতা', শিল্পপতিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ মমতার
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ভোটের ফলের পর দলের নেতাকর্মীদের মনোবল বাড়ানোই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শুভেন্দু অধিকারী নগরপালকে জানিয়েছেন, তিনি আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের নিয়েই ধরনায় বসতে চান।
বিজেপি নেতাদের মতে, ভোটের ফলের পর হতাশ দলের নিচুতলার কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে দলের শীর্ষ নেতারা পাশে না থাকলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে। তাই শুভেন্দু অধিকারীর এই ধরনা উদ্যোগকে দলের কর্মীদের চাঙ্গা রাখার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন। শুভেন্দুকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দিতে হবে, পুলিশকে নির্দেশ দিল হাইকোর্ট