বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Suvendu Adhikari: ‘‌তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক’‌, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikari: ‘‌তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক’‌, নির্বাচন কমিশনকে চিঠি শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছবি (ANI)

জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে যে শর্তগুলি মানতে হয়, তার কোনওটিই পালন করতে পারেনি বাংলার শাসকদল। তাই এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের দুই শতাংশ পেতে হয় তিন রাজ্য থেকে।

ত্রিপুরা–মেঘালয়ের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে একটি রাজনৈতিক দলকে যে শর্ত পূরণ করতে হয় তৃণমূল কংগ্রেস তা করতে পারেনি। তাই জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এমনকী এই মর্মে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। আর তার জেরে এখন রাজ্য–রাজনীতির সরগরম।

জাতীয় তকমার নিয়ম ঠিক কী?‌ বিরোধী দলনেতার দাবি, জাতীয় দলের তকমা পেতে হলে যে শর্তগুলি মানতে হয়, তার কোনওটিই পালন করতে পারেনি বাংলার শাসকদল। তাই এই মর্মে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের তকমা পেতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের দুই শতাংশ পেতে হয় তিন রাজ্য থেকে। কিন্তু তৃণমূলের বাংলার বাইরে কোনও লোকসভা সাংসদ নেই।

ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী?‌ তিনি একটি চিঠি লিখেছেন নির্বাচন কমিশনকে। আর একটি টুইট করেছেন তার পর। তিনি লেখেন, ‘‌জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার যোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভায় তৃণমূলের সাংসদরা শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের। অন্য কোনও রাজ্যের নন। তাই এই শর্ত এক্ষেত্রে পূরণ হয়নি। জাতীয় দলের স্বীকৃতি ধরে রাখতে গেলে ৪ বা তার বেশি রাজ্যে লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলের প্রার্থীদের অন্তত ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। এই নিয়ম অনুযায়ীও তৃণমূল শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এই কারণে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক।’‌

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ শুভেন্দুর এই অভিযোগকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্যসভার সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন বলে, ‘‌ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই বিরোধী দলনেতা এই সব বলছেন। তাঁর কথার কোনও যুক্তি নেই। বড় বড় কথা বলাটা শুভেন্দুর স্বভাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মাটিতে আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং অসমেও আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হয়ে উঠবে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের জাতীয় দলের তকমা বহাল থাকছে। লোডশেডিংয়ে জেতা বিরোধী দলনেতা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছেন।’‌

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন