বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকাশ ভবন যেতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কনভয় আটকেছিল পুলিশ। পুলিশ আটকাতেই বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী। আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও ছিলেন শুভেন্দুর সঙ্গে। এবার সেই ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে চিঠি দিলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এই বিষয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও চিঠি দেন শুভেন্দু।
জানা গিয়েছে, মানবাধিকার কমিশনকে দেওয়া চারপাতার চিঠিতে শুভেন্দু জানান, স্কুল খোলার দাবিতে শিক্ষাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে যেতে চেয়ে বাধার মুখে পড়েন তিনি। এই বিষয়ে একটি টুইটও করেন শুভেন্দু। জানান, এই বিষয়ে রাজ্যপালকেও চিঠি লিখেছেন তিনি। টুইট বার্তায় শুভেন্দু দাবি করেন, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী নাগরিক হিসেবে দেশের যেকোনও স্থানে যাওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁর।
এদিকে গতকাল বাধার মুখে পড়া নিয়ে সাংবাদিকদের শুভেন্দু বলেন, ‘পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে এই তৃণমূল সরকার। ২০০ জনকে নিয়ে বিয়েবাড়ি চালানোর অনুমতি দিতে পারে আর ৩০ জনকে নিয়ে স্কুল খোলার অনুমতি দিতে পারে না? মদের দোকান খোলা রয়েছে কিন্তু স্কুল খুলতেই যত সমস্যা? মুখ্যমন্ত্রীর পদের গরিমা নষ্ট করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুয়ারে মদ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে, আর স্কুল খোলা হচ্ছে না। আমাদের কেন আটকানো হচ্ছে, আমরা তো অপরাধী নই।’
শুভেন্দু জানান, শিক্ষা সচিবের দফতরে একাধিকবার ফোন করেছিলেন তিনি। পরে বিকেল পাঁচটায় শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করা যাবে জেনেই সেখানে যান শুভেন্দু।