এখন জগদীপ ধনখড় উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী। আর তাঁর জায়গায় বাংলার রাজভবনের অতিরিক্ত দায়িত্ব পেয়েছেন মণিপুরের রাজ্যপাল এলএ গণেশন। সেই শপথ অনুষ্ঠানও হল বেশ আড়ম্বরেই। এই নিয়েও রাজনীতির অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার পাল্টা জবাব দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
ঠিক কী অভিযোগ শুভেন্দুর? সোমবার রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য–সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু দেখা যায়নি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। এই অনুপস্থিতির কারণ জানতে গেলে তিনি জানান, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পরে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলে টুইট করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
ঠিক কী লিখেছেন টুইটে? এই ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘বাংলার ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল এলএ গণেশনজির শপথের বন্দোবস্ত করেছে নবান্ন। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ছিলেন আহ্বায়ক। তাই বিরোধী দলনেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। পুরোটাই ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে।’ এই নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য–রাজনীতি।
ঠিক কী জবাব দিলেন কুণাল ঘোষ? শুভেন্দু টুইট করতেই পাল্টা টুইট করেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শুভেন্দুর নাম না করে কুণাল লিখেছেন, ‘২০০৯ সালে যে নিজে মন্ত্রী হতে না পেরে নিজের বাবার শপথ বয়কট করে নয়াদিল্লি থেকে ফিরে এসেছিল, বাবাকে বাদ দিয়ে নিজে মন্ত্রী হওয়ার জন্য নেত্রীকে বলেছিল, বাবা অনুরোধ করেও তাঁকে শপথে রাখতে পারেননি সে আজ অন্যের শপথে যেতে পারেনি বলে টুইট করছে।’