ডিসেম্বর মাসের প্রতিটি তারিখ যেন জমজমাট হয়ে যাচ্ছে। এবার দক্ষিণ কলকাতার হাজরা মোড়ে সভা করতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা সেখানেই সভা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীরা। শুভেন্দু অধিকারী যেখানে যেখানে সভা করবেন সেখানে সেখানে পাল্টা সভা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৩ ডিসেম্বর হাজরা মোড়ে সভা করবে ঘাসফুল শিবির। থাকবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস। আর উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি এবং রাসবিহারী বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক দেবাশিস কুমার। সুতরাং ডিসেম্বর হয়ে উঠবে জমজমাট।
এদিকে আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে শুভেন্দুর দুয়ারে সভা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা হিসাবে শুভেন্দু ডায়মন্ড হারবারে গিয়ে সভা করেন। এবার পূর্ব মেদিনীপুরে সভা করেছেন শুভেন্দু। তার পাল্টা দিতে আবার সেখানে সভা করবেন বলে আগেই ঘোষণা করেছেন অভিষেক। সুতরাং গোটা ডিসেম্বর মাসে একে অপরকে সমানে সমানে টক্কর দেবেন। ইতিমধ্যেই ডিসেম্বর ডেডলাইন দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সরকার পড়ে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। আবার তিনটি তারিখ জানিয়ে দিয়েছেন (১২, ১৪, ২১)। এবার তার পাল্টা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
অন্যদিকে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে সভা করার কথা ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক তার ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একই জায়গায় সভা করবে বলে ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেসও। অথচ বিধানসভা থেকে বাংলার স্বার্থে যে প্রতিনিধিদল নয়াদিল্লি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেখানে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না বিরোধী দলনেতা। তাঁকে ফোন করে কথা বলেছেন পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের মানুষের স্বার্থে কাজ না করে সরকারকে আক্রমণ করার বিষয়টি এবার প্রতিটি সভা থেকে তুলে ধরবে তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, হাজরায় সভা করতে প্রথমে প্রশাসনের অনুমতি পাননি শুভেন্দু অধিকারী। তখন তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের। সেখান থেকে অনুমতি মিলেছে। তার পর শুভেন্দু জানান, আগামী ১২ ডিসেম্বর হাজরায় সভা করবেন। কাঁথিতে ২১ ডিসেম্বর সভা করবেন তিনি। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করতে গেলে শব্দবিধি মানতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।