কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের জমায়েতে বিস্তর বিরক্ত বিরোধী দলনেতা। এই নিয়ে তিনি টুইটও করেছেন। এবার এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কী অভিসন্ধি নিয়ে এমন জমায়েত? এই প্রশ্ন তুলে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ‘গেট ওয়েল সুন’ কার্ড নিয়ে হাজির হন তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠনের কর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত শুভেন্দুর বাড়ি শান্তিকুঞ্জের সামনে একই ছবি দেখা যায়।
ঠিক কী অভিযোগ করা হয়েছে? আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে এই ঘটনা নিয়ে মামলা দায়ের করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সেখানে হলফনামায় অভিযোগ করা হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া ও পুলিশ এই ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআরপিএফ–কে মামলায় পার্টি করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। আগামীকাল, বুধবার দুপুর ২টোয় শুনানির সম্ভাবনা। সেখানে কি হয় সেটাই দেখার।
ঠিক কী প্রতিক্রিয়া বিরোধী দলনেতার? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, ‘ওরা খুব ভাল করেই জানে, বাড়িতে আমার ৮৪ বছর বয়সী বাবা শিশির অধিকারী ও ৭৫ বছর বয়সী মা গায়ত্রী অধিকারী রয়েছেন। বাড়ির সামনে স্লোগান দিয়ে, উত্তেজনা তৈরি করে ওরা ইচ্ছাকৃত বাবা–মাকে বিরক্ত করছে। মমতার পুলিশ ৫ পয়সার মতো দু’মুখো ও অপদার্থ। একদিকে, চাকরিপ্রার্থীরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে এক কিলোমিটার আগে তাদের আটকে, অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলে। অন্যদিকে, যখন আমার বাড়ির সামনে গুন্ডারা গণ্ডগোল বাধায়, তখন তাদের নেতৃত্ব দেয় সেই পুলিশই। আমি বেরিয়ে যাওয়া পর তারা বাড়ির সামনে গিয়েছিল।’
ঠিক কী বক্তব্য তৃণমূল কংগ্রেসের? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে কার্ড ও ফুল তুলে দেওয়ার জন্যে এসেছিলাম। কোনও অশান্তি করতে আসিনি। উনি বাড়িতে ছিলেন না পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাই পুলিশের মাধ্যমে ওঁর কাছে কার্ড ও ফুল পাঠিয়ে দিয়েছি।’