তৃণমূল সাংসদ বলেছিলেন, বিজেপি ও তৃণমূলকে একসঙ্গে প্রেম করা যাবে না। অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। তারপরই দেখা গেল, নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গরহাজির থাকলেন পরিবহনমন্ত্রী। অথচ সন্ধ্যেবেলায় বাগুইআটিতে কালী পুজোর উদ্বোধনে দেখা গেল রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে অবস্থান স্পষ্ট করলেন না। বরং রেখে গেলেন একরাশ ধোঁয়াশা।
বুধবার সন্ধ্যেবেলায় বাগুইআটির জ্যাংড়ায় আমরা সবাই ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যে তৃণমূল সাংসদ অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছিলেন তাঁর নাম না করলেও দিয়ে গেলেন ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা। যা নিমেষে পৌঁছে যায় কালীঘাট পর্যন্ত।
কী সেই বার্তা? এদিন মঞ্চ থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি আমি নয়, আমরা। নিজের স্বার্থ পরিবারের স্বার্থ না দেখে সকলকে নিয়ে চলতে হবে।’ অর্থাৎ সকলকে নিয়ে চললে তিনিও চলবেন এটা বুঝিয়ে দিলেন। আর সেটা কাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন তা সবাই বুঝতে পেরেছে।
উল্লেখ্য, তিনি যে পুজোর উদ্বোধন করেন, তার পাশেই উত্তর ২৪ পরগনার যুব সভাপতি দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়ি। তাঁকে–সহ কোনও তৃণমূল নেতাকেই দেখা যায়নি ওই অনুষ্ঠানে। সুতরাং তিনি যেমন দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন, তেমনই দলও তাঁর সঙ্গে নিরাপদ দূরত্ব রাখল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।