নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে ভরা জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন লড়বেন নন্দীগ্রাম থেকেও। এটা শুভেন্দু অধিকরীর গড়ে দাঁড়িয়ে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ বলা চলে। এবার তৃণমূলনেত্রীকে পাল্টা খোলা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, ‘লড়তে পারি ভবানীপুরেও’। সুতরাং এবারের বিধানসভা নির্বাচনে পরস্পরের গড় পাল্টা–পাল্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত আক্রমণ করছিলেন। তবে সভামঞ্চ ছেড়ে এই প্রথমবার কোনও সাংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারের মঞ্চে বসেছিলেন তিনি। সেখানেও তিনি আক্রমণ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক কয়েক মাস আগে দলবদল কেন? বিস্ফোরক মেজাজে নাম না করে সরাসরি তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশ্যে শুভেন্দুর জবাব, ‘ভোটের আগে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওনাকে সরানোর সময় এসেছে, তাই এই সিদ্ধান্ত। রাজীব গান্ধী ওনাকে তুলে এনেছিলেন। কংগ্রেসের খেয়ে, পরে, নাম করে, রাজ্যে সমান্তরাল কংগ্রেস করেছিলেন। কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন।’
দল ছাড়ার কারণ হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। দেড়টা লোক মিলে সবকিছু চালাবে, উনি আর ওনার ভ্রাতুষ্পুত্র। এটা চলতে পারে না। আমি ঝুঁকি নিতে তৈরি। আমার বিরুদ্ধে মামলার চেষ্টা করছে। কীভাবে টাইট দেওয়া যায় দেখছে। কিন্তু তাতে লাভ হবে না।’
নন্দীগ্রাম আন্দোলন কারও একার কৃতিত্ব নয়। এটা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। উত্তরে শুভেন্দু জানান, ‘নন্দীগ্রাম আমার আন্দোলন, একথা কখনও বলিনি। বলেছি নন্দীগ্রাম মানুষের আন্দোলন। তৃণমূলের নেতারা এখন বলছেন, নন্দীগ্রাম মমতার আন্দোলন। এখানেই আমার আপত্তি। এত আমিত্ব কীসের জন্য?’
তাঁর ফোন ট্যাপ হত বলেও অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী ছিলাম, সাংসদ ছিলাম, আমাদের ফোন ট্যাপ করা হতো। ২০১১ সালের ২১ জুলাই থেকে পেছনে লেগেছে। সেদিন ভাইপোকে যুবার সভাপতি করেন। একই দলে দু’টো যুব সংগঠন? কোনও রাজনৈতিক দলে আছে?’ এই সব কথার উত্তর অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও দেওয়া হয়নি।